• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার জ্বালানি তেলে আগ্রহ চীনের, ভারতের আমদানিত

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৩, ১১:০০ পিএম

রাশিয়ার জ্বালানি তেলে আগ্রহ চীনের, ভারতের আমদানিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাশিয়ার উরাল তেলের প্রতি ভারত ও চীনের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। কাজেই এই তেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত দুই দেশ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই উরাল তেল নিয়ে চীনের আগ্রহ থাকার কারণে মস্কো থেকে ভারতের জ্বালানি আমদানিতে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা তেল পরিশোধনকারীরা রাশিয়ার উরাল গ্রেডের অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়াচ্ছে। যার কারণে এই তেল নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিযোগিতা আরও বেড়েছে।

এনার্জি কার্গো ট্র্যাকার ভর্টেক্সার তথ্য বলছে, এপ্রিলে দৈনিক রেকর্ড ১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত, যা ভারতের গত মাসের মোট তেল আমদানির ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এপ্রিলে দেশটি দৈনিক ৪ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কিনেছে।

এককালে ভারত তাদের জ্বালানি তেল আমদানির সিংহভাগই ইরাক ও সৌদি আরব থেকে আনত। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর সে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড় করা দামে অপরিশোধিত তেল কেনা সুযোগ লুফে নিয়ে তা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ভারত। মাত্র এক বছরেরই ইরাক-সৌদিকে ছাড়িয়ে ভারতের জ্বালানি তেলের বড় উৎস হয়ে ওঠে রাশিয়া।
 
ভর্টেক্সা অনুসারে, এপ্রিলে ভারতের পরিশোধনকারীরা এই দুই দেশ থেকে দৈনিক ১ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।

তবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়টি ভারত পর্যালোচনা করছে। এ বিষয়ে ভর্টেক্সার এশিয়া প্যাসিফিকের বিশ্লেষণের প্রধান সেরেনা হুয়াং বলেন, ‘এপ্রিলে আবারও রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ভারত। তবে এ হার মাস ব্যবধানে কমছে। মূলত উরাল তেল নিয়ে চীনের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় মস্কো থেকে দেশটির জ্বালানি আমদানিতে কিছুটা ভাটা পড়বে।’

রাশিয়ার উরাল তেলের প্রতি ভারত ও চীনের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। কাজেই এই তেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত দুই দেশ। তথ্য বলছে, এপ্রিলে ভারতের রাশিয়া থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশই উরাল গ্রেডের।
 
এদিকে গত কয়েক মাসে এই উরাল গ্রেডের তেল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে চীন। ভর্টেক্সার তথ্য অনুসারে, গত ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি সময়ে রাশিয়া থেকে চীনের আমদানি করা জ্বালানি তেলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ জুড়ে ছিল উরাল গ্রেডের তেল, যা মার্চে উঠেছে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশে এবং এপ্রিলে ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশে।


এপ্রিলে দেশটি দৈনিক প্রায় ১ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ার তেল আমদানি করেছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ব্যারেলই উরাল গ্রেডের।

সেরেনা হুয়াং বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মুখে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এড়াতে প্রথমদিকে রাশিয়ার তেল কিনতে চীনা পরিশোধনকারীরা একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিল।’


এডিএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ