• ঢাকা সোমবার
    ১৩ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে বাড়ছে সূর্যমুখী ও ভুট্টার চাষ

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম

মৌলভীবাজারে বাড়ছে সূর্যমুখী ও ভুট্টার চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মৌলভীবাজারে পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম হলেও চাহিদা বেশি থাকায় এ ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

রোববার (১৪ মে) মৌলভিবাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি ভুট্টা গাছ। প্রায় একই উচ্চতায় থাকা গাছগুলো হৃষ্টপুষ্ট ফসলের ভারে অনেকটা এদিক-সেদিক হেলে পড়ছে। পরিপক্ব ভুট্টার মোচায় অনেকটা হালকা বাদামি রং লেগেছে। কোনোটার মোচা আবার গাঢ় সবুজ পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকায় তা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে আগাছা সরিয়ে ফসল সংগ্রহের ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়াসহ সাত উপজেলায় বাণিজ্যকভাবে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। তবে এ বছর শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে।

অন্য ফষলের চেয়ে ভুট্টার উৎপাদন খরচ কম। তবে ফলন ও বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় ফসলটি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষক। এক চাষি বলেন, আগে ধান আবাদ করতাম। এখন ভুট্টা উৎপাদন করে ভালোই লাভবান হচ্ছি।
 
চাষিরা জানালেন, ধানের চেয়ে অধিক ফলন ও কম খরচে ভুট্টা উৎপাদন করে তারা বেশ লাভবান। প্রতি বিঘায় ৩০ মণ ভুট্টার উৎপাদন পাওয়া গেছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ৯ টন করে ভুট্টার উৎপাদন হয়েছে। বাজারে চাহিদা এবং ধানের চেয়ে ভালো দাম থাকাতে চাষিরা ভুট্টা চাষের প্রতিই আগ্রহী হচ্ছেন। এতে মৌলভীবাজার জেলার পতিত ফেলে রাখা জমিতে দিনকে দিনকে ভুট্টা চাষের পরিমাণ বাড়ছে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপারকাগাবালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমন মোস্তফা জানান, আগে ইউনিয়নে এত ভুট্টা চাষ হতে দেখিনি। ভুট্টা চাষে লাভবান হওয়ায় একই ইউনিয়নে ৪২ জনের মতো কৃষক ভুট্টা চাষ করেছেন। পাশাপাশি ফলনও ভালো। তা ছাড়া কৃষি বিভাগের সহায়তায় চাষিরা ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।


এদিকে ভুট্টা চাষ আরও বাড়াতে জেলার চাষিদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমদ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ২৭০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে। বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৩০ টন।


এডিএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ