• ঢাকা বুধবার
    ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক মাসে এলো দেড় লাখ টন কয়লা

প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩, ০১:১৭ এএম

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক মাসে এলো দেড় লাখ টন কয়লা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহেশখালীর মাতারবাড়ি বন্দরে মাত্র ২৪ দিনের ব্যবধানে ভিড়ল কয়লাবাহী বিশাল আকৃতির দ্বিতীয় মাদারভ্যাসেল। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলটরা দক্ষতার সঙ্গে গভীর সাগর থেকে জাহাজটিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে এনে ভিড়িয়েছেন। এ নিয়ে এক মাসে দেশে এলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা।

শুক্রবার (১৯ মে) মাতারবাড়ি বন্দরের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে এসে পৌঁছায় হংকংয়ের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ওয়াই এম ইন্ডেভোয়ার।

এক মাসের মধ্যে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দুইটি মাদারভ্যাসেলে করে দেশে এসেছে অন্তত দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা। আজ সকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে বন্দরে এসে ভিড়েছে এমভি ওয়াই এম ইন্ডেভোয়ার নামে জাহাজটি। আধ ঘণ্টার কম সময়ে সতর্কতার সঙ্গে জেটিতে ভেড়ানো হয় ২২৯ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ১২ মিটার গভীরতার এ জাহাজকে।
 
মহেশখালী মাতারবাড়ি বন্দরের অবস্থান গভীর সাগরে। আর চ্যানেলে অপরিচিত হওয়ার কারণে মাতারবাড়ি বন্দরের উদ্দেশ্যে আসা জাহাজগুলোকে বিদেশি ক্যাপ্টেনরা অনেকটা দূরে অবস্থান নিয়ে রাখে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলটরা সেই জাহাজকে পাইলটিং করে বন্দরের জেটিতে নিয়ে আসেন।


বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি বন্দরে এসেছে জাহাজটি। জাপানের সহযোগিতায় মাতারবাড়িতে গড়ে ওঠা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক মাসেই আনা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা। শনিবার (২০ মে) থেকেই শুরু হবে জাহাজের কয়লা খালাসের কার্যক্রম।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল এই বন্দরে ভিড়েছিল সবচেয়ে বড় জাহাজ এমভি অওয়াসু মারু। এ জাহাজ ভিড়িয়ে গভীর সমুদ্র বন্দরের অনুমোদনও পেয়ে গেছে মাতারবাড়ি বন্দর। জাহাজটি ভেড়ানোর সময় মাতারবাড়ি বন্দরের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেটিতে উপস্থিত ছিলেন।

তবে এখনও বন্দর হিসাবে গড়ে না উঠলেও গত দেড় বছরে ১১৪টি জাহাজ ভিড়িয়ে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। এর আগে ১১২টি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি আনলেও বাকি দুইটি বিশাল আকৃতির জাহাজ এনেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা। আর এ পর্যন্ত অন্তত ২০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।


এডিএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ