• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

তালাকের তথ্য গোপন রেখে শারীরিক সম্পর্ক, আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর ধর্ষণ মামলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ১০:১৮ পিএম

তালাকের তথ্য গোপন রেখে শারীরিক সম্পর্ক, আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর ধর্ষণ মামলা

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন।

দেশজুড়ে ডেস্ক

স্ত্রীকে পাঁচ মাস আগে তালাক দিয়েছেন। কিন্তু তালাকের তথ্য গোপন রেখে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন। আর এমনই অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তালাকের বিষয়টি জানার পর ধর্ষণ মামলা করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী (২৪)। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশে আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

পাঁচ মাস আগে তালাক দিলেও সেই নোটিশ গোপন করে এত দিন ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন ওই নেতা। বিষয়টি জানার পর ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

জানা যায়, অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নয়ারহাট এলাকার চাকল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ওই নারীকে বিয়ে করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে বিয়ের পর তিনি নিজ বাড়িতে থেকেই মোয়াজ্জেমের সঙ্গে সংসার করতেন। চলতি মাসের ৬ সেপ্টেম্বরে ভরণপোষণের খরচ চাইতে ভুক্তভোগী ওই নারী মোয়াজ্জেমের বাড়িতে গেলে তার হাতে তালাকের কাগজ ধরিয়ে দেয়া হয়। তালাকনামার তারিখ অনুযায়ী গত ১৭ এপ্রিল ওই নারীকে তালাক দিয়েছিলেন বহিষ্কৃত এই আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্তু বিষয়টি গোপন করে তিনি শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

 এআরআই

আর্কাইভ