
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এ সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট স্বচ্ছ নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা। আমরা বলেছিলাম, নির্বাচনমুখী জরুরী সংস্কার করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরোও বলেন, `আপনার সরকারকে লোকজন বলছে এনসিপি মার্কা সরকার। আপনার সরকারে এনসিপির দু`জন প্রতিনিধি বিদ্যমান। তারা উপদেষ্টা এবং এনসিপি সংগঠন করে। আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চাইলে এনসিপি মার্কা দুইজনকে পদত্যাগ করতে বলুন। পদত্যাগ না করলে আপনি বিদায় করুন।
শনিবার (১৭ মে) খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করেন। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিপুল সংখ্যক তরুণ নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সমাবেশের প্রধান বক্তা যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চলনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা।
এছাড়া পৃথক মিছিল নিয়ে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে যোগ দেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারীরা। নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল শুরু করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় তার সঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির আগের কমিটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে খুলনা মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি থেকে মঞ্জু অনুসারীদের বাদ দেওয়া হয়। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সব নেতাই এখন রকিবুল ইসলাম বকুলের অনুসারী।
তারপরও কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়।