• ঢাকা রবিবার
    ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের দেড় মাস পর জানলেন নববধূ পুরুষ!

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের দেড় মাস পর জানলেন নববধূ পুরুষ!

ফরিদপুর প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দেড় মাস সংসার করার পর জানা গেল মাহমুদুল হাসান শান্ত’র (ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে) বিয়ে করা নববধু সামিয়া আসলে একজন পুরুষ।

গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথিত সামিয়ার প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। দীর্ঘদিন ফেসবুকে সামিয়া নামে পরিচয় গড়ে তোলেন শাহিনুর। পরবর্তীতে গত ৭ জুন তিনি শান্ত’র বাড়িতে চলে আসেন। পরিবারের সম্মতিতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মৌলভি ডেকে শান্ত ও সামিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এরপর থেকে নববধু হিসেবে শান্ত’র পরিবারে থাকছিলেন সামিয়া। দেড় মাসে কারও সন্দেহ হয়নি যে তিনি একজন পুরুষ। তবে সম্প্রতি আচরণগত কিছু বিষয় দেখে পরিবার ও শান্ত’র মনে সন্দেহ তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেলে নিশ্চিত হওয়া যায়, সামিয়া আসলে পুরুষ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় হৈচৈ শুরু হয় এবং বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

শান্ত জানান, “ফেসবুকের মাধ্যমে সামিয়ার সাথে আমার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে দেয়া হয়। সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তার আচরণ রহস্যজনক ছিল। কাছে যেতে চাইলে সে বলত, ‘আমি অসুস্থ, ডাক্তার কাছে যেতে মানা করেছে।’”

শান্ত’র মা মোছা. সোহাগী বেগম জানান, “একজন পুরুষ মানুষ আমাদের পরিবারে বউ হয়ে ছিল, অথচ আমরা কিছুই বুঝিনি। অভিনয় করে আমাদের মন জয় করে নিয়েছিল।”

ঘটনা প্রকাশ পেলে শনিবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে শাহিনুরকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে শাহিনুর রহমান অরফে সামিয়া ফোনে বলেন, “শান্ত’র সাথে যা করেছি, সেটা আমার অন্যায়। আমার হরমোনজনিত সমস্যা আছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতে ভালো লাগে।”
 

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ