• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সালসাবিল

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ০৯:১১ পিএম

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সালসাবিল

বিনোদন ডেস্ক

আলোচিত গায়ক নোবেলকে ডিভোর্স দিয়েছেন সালসাবিল মাহমুদ। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খবরটি জানানোর পর এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।সিটি নিউজ ঢাকাকে এমনটাই জানিয়েছেন সালসাবিল।

গত ৪ মে ফেসবুকে লম্বা স্ট্যাটাস দেন তিনি। লেখেন, “আমি হয়তো আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা, যেহেতু আমরা দুজনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয়, আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল’। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি।”

স্ট্যাটাসে সালসাবিল আরও লেখেন, ‘আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী। কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে, সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী।’

এ স্ট্যাটাসের পর বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেয়া হচ্ছে সালসাবিলকে- এমনটাই দাবি তার।সিটি নিউজ ঢাকাকে তিনি বলেন, ‘স্ট্যাটাস দেয়ার কয়েক ঘন্টা পর থেকে আমার কাছে বিভিন্ন মানুষের ফোন আসছে। প্রভাবশালী মানুষদের রেফারেন্স দিয়েই ফোন করছে। আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় পর্যন্ত ঠিক ছিল, মাদক নিয়ে কেন কথা বললাম? এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তারা বলছে, যদি আমাদের কারও নাম সামনে আসে তাহলে তোমাকে ২ মিনিটের ভেতর গুম করে দেয়া হবে। তা না হলে রাস্তা গুলি করা হবে।’


নোবেলের সাবেক স্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফোনে বলা হচ্ছে, তোমার মুখ কীভাবে বন্ধ করতে হয় দেখে নিব। তোমার কী হয় দেখে নিব। স্ট্যাটাস ডিলেট করার জন্যও বলা হচ্ছে আমাকে।’

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কি না জানতে চাইলে সালসাবিল বলেন, ‘অবশ্যই, এর থেকে বেশি। আমার বাবা-মায়ের কেমন লাগছে চিন্তা করেন। একজন বাবা যদি শোনে এসব, তার কেমন লাগে ভাবতে পারবেন? আমি এখনও জিডি করিনি, কারণ জিডি করে কোনো লাভ হবে না।’


এডিএস/

আর্কাইভ