• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় টিকা বাণিজ্য : নয়া ৯ বিলিয়নিয়ার

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২১, ০৭:২৯ পিএম

করোনায় টিকা বাণিজ্য : নয়া ৯ বিলিয়নিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনা মহামারির ছোবলে বিশ্ব যখন ধরাশায়ী, ধনী দরিদ্র প্রায় সব দেশেরই অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড যখন ভেঙে পড়েছে তখন কোভিড-১৯ এর টিকা বাণিজ্যে অনেক ওষুধ কোম্পানি নিয়মিত মুনাফা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত। দিকে মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, এভাবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর সম্পদের পাহাড় গড়ে ওঠা থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে করোনা মহামারির ফলে বিশ্বে সম্পদের বৈষম্য কতটা প্রকট হয়ে উঠেছে।

পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের তথ্যের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন তথ্য দিয়েছে। তবে অক্সফাম, ইউএনএইডস, গ্লোবাল জাস্টিস নাও এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে গঠিত পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সফোর্বস রিচ লিস্ট-এর তথ্যের আলোকে নব্য ধনীদের সম্পদের বিশ্লেষণ করেছে।

করোনার টিকা আবিষ্কার, উৎপাদন বাজারজাতকরণের বিভিন্ন অজুহাতের সুযোগে ওইসব ওষুধ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ানো হচ্ছে। আর এভাবেই করোনাগ্রস্ত পুরাতন পৃথিবীতে নতুন জন বিলিয়নিয়ার বা শত কোটিপতি নিজেদের মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন ৯জন বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদের পরিমাণ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার, যা ৭৮ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টেফান ব্যানচেল বায়োএনটেকের সিইও উগুর সাহিন। এদের দুজনেরই সম্পদের পরিমাণ প্রায় চার বিলিয়ন বা চারশকোটি ডলার।

ছাড়া কাগজে-কলমে চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিকসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এবং মডার্নার শুরুর দিকের বিনিয়োগকারীরাও বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। এর আংশিক কারণ কোভিড টিকা বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফার প্রত্যাশা এবং কোম্পানির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

করোনা মহামারি শুরুর পর গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মডার্নার শেয়ারের দাম ৭০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত।

একই সময়ে ক্যানসিনো বায়োলজিকসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৪০ শতাংশ। এই কোম্পানির এক ডোজের টিকা বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে।

এক বিবৃতিতে অক্সফামের স্বাস্থ্যনীতি ব্যবস্থাপক অ্যান ম্যারিয়ট জানিয়েছেন, এসব বিলিয়নিয়াররা আসলে ওষুধ কোম্পানিগুলোর মনুষ্য-চেহারা মাত্র। এর থেকে এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, বাজারে টিকা উৎপাদনের একক নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রেখে কী বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে এই টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিআর/এম. জামান

আর্কাইভ