• ঢাকা মঙ্গলবার
    ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বোমাবর্ষণ বন্ধ না হলে আলোচনা নয়: আরএসএফ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

বোমাবর্ষণ বন্ধ না হলে আলোচনা নয়: আরএসএফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নিজ সেনাদের ওপর বোমাবর্ষণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের আলোচনা নয় বলে জানিয়েছেন সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস’র (আরএসএফ) শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল হেমেদি।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হেমেদি জানান, তৃতীয় দফায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরেও আরএসএফ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বোমা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী।

চলমান সহিংসতার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানকে দায়ী করেছেন তিনি।

আরএসএফের শীর্ষ কমান্ডার বলেন, ‘আমরা সুদানকে ধ্বংস করতে চাই না। তারা (সেনাবাহিনী) নিষ্ঠুরতা বন্ধ করুক; আমরা শান্তি সংলাপে বসব।’

এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সুদানের রাজধানী খার্তুমে অব্যাহত রয়েছে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিকবাহিনীর মধ্যে লড়াই। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনও ধোয়া উড়ছে। ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছে খার্তুম।

গত ১৫ এপ্রিল ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী‍‍`র মধ্যে লড়াই শুরু হয়। প্রায় পনেরো দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশটিতে। তীব্র গরমে খাদ্য, পানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন সুদানবাসী। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশুসহ অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিরা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সুদানে চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি। আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বার্তাসংস্থা এপি জানায়, এরইমধ্যে হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি এমনকি, ডায়ালিসিসের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নেই। অনেকেই খার্তুম ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন মিশরে।

এদিকে, সুদানে বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজে অংশ নেয়া তুরস্কের একটি উদ্ধারকারী বিমানকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

সেনাবাহিনীর দাবি, খার্তুমের পার্শ্ববর্তী ওমদুরমানের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের আগ মুহূর্তে বিমানটি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে আরএসএফ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাহিনীটি। হামলায় বিমানটির ফুয়েল সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নিরাপদে অবতরণ করে এটি।

চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই অব্যাহত রয়েছে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার ফিলিস্তিনের অনেক নাগরিক সুদান ত্যাগ করেন।

 

বিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ