• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় নেতানিয়াহু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৯:৩৪ এএম

ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মধ্যেই এবার ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টে চিঠি দিয়েছেন ইসরাইলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। খবর সিএনএনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুকে ইসরাইলের ‘অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি উল্লেখ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে ওই কর্মকর্তারা চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরাইলের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন।

চিঠিতে নেতানিয়াহুর ইসরাইলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার বিতর্কিত প্রচেষ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে দাবি করেন তারা। এর ফলেই ৭ অক্টোবরের হামলা হয়েছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, নেতানিয়াহু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যার ফলে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ইসরাইলি এবং অন্যদের নৃশংস গণহত্যা, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনো হামাসের হাতে বন্দি। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহুর ক্ষমতাচ্যুতির দাবিকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে ইসরাইলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান বলেছেন, নেতানিয়াহু ইসরাইলের নেতৃত্ব দিতে অক্ষম।

বিচার ব্যবস্থা সংস্কার আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে চাপের মুখে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। বিক্ষোভের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলিদের নতুন তোপের মুখে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে পার্লামেন্টের ভেতরেই স্বজদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে। বেশ কয়েকবার ক্ষমতাচ্যুত করার দাবিও উঠেছে। এছাড়া তেল আবিবে নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভও অব্যাহত রয়েছে।

আর্কাইভ