
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানিয়েছেন, দেশের জনগণের
জন্য তথ্য ভাণ্ডার করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ জন্য তৈরি হচ্ছে
জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর)।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই ধরনের রেজিস্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষের প্রাইভেসি রক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশি সংস্থাগুলো আমাদের তথ্য নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। রেজিস্টার খাতে অভারলেপিং না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় ঘটে। অর্থের অপচয় আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এটা একটি মাইলফলক হবে। এখানে নাগরিকদের সব তথ্যই থাকবে। এটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ডুপ্লিকেশন, ওভারলেপিং বা এ ধরনের বিষয়গুলো যাতে না হয়। সময়, খরচ ও জটিলতা এড়াতে ধীর-স্থিরভাবে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে- এই রেজিস্টার যাতে শক্তিশালী হয়। তথ্য সঠিক না হলে পরিকল্পনা সঠিক হবে না। বেইজ ইয়ার ডেটা দ্রুত ঠিক করা দরকার।
তিনি বলেন, জনশুমারি করছি এটা এক ধরনের শুমারি। আমাদের হাউজ হোল্ড ডেটাবেজ করেছি। সেখানেও কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে। হাউজ হোল্ড ডেটাবেজ, এনআইডি ডেটাবেজ, জনশুমারি এবং এনপিআর সবগুলোই কিন্তু কাছাকাছি। প্রত্যেকের আইডেন্টটিফিকেশন প্রত্যেকটিতেই আছে। জটিলতা বাঁচানোর জন্য একটা উপদেষ্টা পরিষদ যদি থাকে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, এই রেজিস্টারের মাধ্যমে কেউ মারা গেলেও তার তথ্য মুছে যাবে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের তথ্য পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারি, আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিএসের পরিচালক (সেন্সাস উইং) ড. মো. শাহাদত হোসেন।
জেডআই/ডাকুয়া