• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

হাফেজ তাকরীমকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০৭:০৩ পিএম

হাফেজ তাকরীমকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিমকে সংবর্ধনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি তার বাবা-মা ও শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র কুরআনুল কারীম মানবজাতির হেদায়েতের নির্দেশনা। ইসলামের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬৩টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমি বিভিন্ন সময়ে বিশ্বজয়ী হাফেজ ও কারীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন দেশে ১১৮ জন হাফেজকে পাঠিয়েছি। এর মধ্যে ৯৬ জন হাফেজ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন।’

তাকরীমের বাবা হাফেজ আবদুর রহমান নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘তাকরীম আমার মেঝো ছেলে। সে বিশ্ব দরবারে বাংলার পতাকা উড্ডীন করেছে। ওস্তাদদের পরিশ্রম ও ১৭ কোটি মানুষের দোয়ায় আমার ছেলে এই সফলতা অর্জন করেছে। আমি আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই।’

হাফেজ তাকরীমের শিক্ষক ও তার মাদরাসার মুহতামীম মুরতাজা হাসান ফয়েজী বলেন, ‘আমরা এই সংবর্ধনার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাকরীমের প্রথম শিক্ষক তার বাবা। তিনি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছেন। তিনি সঠিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক নির্বাচন করতে পেরেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাকরীম বছরে মাত্র একবার বাড়িতে গিয়েছিল। সে তার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিল। আমরা শুধু সংবর্ধনা চাই না। আমরা এই ছেলেগুলোকে আলেমে হক্কানি ও রাব্বানী বানাতে চাই।’

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল হাওলাদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীন, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান প্রমুখ।

 

আর্কাইভ