
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে দীর্ঘ ১৯ দিন তুমুল উত্তেজনার পর এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। সবশেষ দুই-তিন দিনে উত্তেজনা অনেকটা কমে এলেও থেমে যায়নি পুরোপুরি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিতে গিয়ে ভারতের বিমান বাহিনীকে বড় এক খোঁচা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন, তারা ঠিক সেই পরিণতির সম্মুখীন হবে, যেটি হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আগে জাতির মধ্যে ভাঙন ছিল, কিন্তু এখন সবাই ঐকবদ্ধ।
শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন।
শনিবার সিয়ালকোটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যেভাবে দ্রুত ও শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। ১০ মে আমাদের সাহসী সেনাবাহিনী শত্রুকে দৃঢ় জবাব দিয়েছে। তখন আমাদের নেতৃত্ব ছিল পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসে ভরপুর। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বেসামরিক নেতৃত্বও সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন— মাতৃভূমিকে রক্ষায় পাকিস্তান শেষ সীমা পর্যন্ত যাবে। পাকিস্তানের জনগণ তাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে। ভারতের আগ্রাসন আসলে জাতিকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে।
এসময় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়ানোর পেছনে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। এখন আমাদের যুদ্ধ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে— আর তাদের পরিণতি হবে ভারতের বিমানবাহিনীর মতোই।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রতিটি ফ্রন্টেই আমরা জয়ী হয়েছি। আল্লাহর কৃপায় আমরা সবখানে সফল হয়েছি। যদি ভারত আবারও এমন কিছু করার সাহস দেখায়, তবে আগের চেয়েও শক্তিশালী জবাব পাবে।
সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় ভারতের ১০টি যুদ্ধবিমান পাকিস্তান বিমানবাহিনীর নজরে ছিল বলেও জানান খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনা ঘিরে তলানিতে নেমে যায় ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে পরিস্থিতি। এক পর্যায়ে ৭ মে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর নেমে এক সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ভারত। জবাবে পাকিস্তানও ভারতে পাল্টা হামলা চালায়। ওইদিন ভারতের বিমান বাহিনীর শক্তির পরিচয় বহনকারী তিনটি রাফালসহ ৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান।