• ঢাকা রবিবার
    ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিকে পাগলাগারদে না পাঠানো পর্যন্ত জনগণ নিরাপদ না : মায়া

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২, ০৮:২৬ পিএম

বিএনপিকে পাগলাগারদে না পাঠানো পর্যন্ত জনগণ নিরাপদ না : মায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপিকে পাগলাগারদে না পাঠানো পর্যন্ত জনগণ নিরাপদ না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘পাগলের বাড়াবাড়ি বেশি হয়ে গেছে। এদের পাবনা না পাঠানো পর্যন্ত মানুষ নিরাপদ না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো পাবনায় কয়েকটা কারাগার বানান। পাগল বেশি হইয়া গেছে। তাদের সেখানে আটকাতে হবে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার বক্তব্য ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপিকে মিথ্যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কেমন কুকুর তেমন মুগুর। এরা ভালো কথার মানুষ না। এরা ভালো কথা শোনেও না, ভালো কথা বলতেও পারে না। বিএনপি হইলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মিথ্যাবাদী দল৷

তিনি বলেন, ‘আমরা নাকি কথা বলতে দেই না, দেখেন কেমনে গলা ফাইরা কথা কয়। প্রতিদিন কয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আমগো কাঁটাতারের মধ্যে রাখত। আমরা কাঁটাতার ভেঙেই কিন্তু টেনে হিঁচড়ে খালেদা জিয়াকে নামাইছি।

মায়া বলেন, ‘গুম-খুন, আগুন, সন্ত্রাস সব তাদের ডিকশিনারিতে। বিএনপি জানে, নির্বাচনে গেলে তাদের কি অবস্থা হবে। তাই তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। এটা কি হয় ভাই? এটা জোরের জায়গা না। সন্ত্রাসের জায়গা না।

শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে মায়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসেন। এটাই রীতি। এটা নিয়ে কত রকম গুজব। শেখ হাসিনা দেন না, আনেন। বাপের বেটি শেখ হাসিনা দিতে জানে না, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে যেটা করতে হয়, সেটাই তিনি করেন।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর মিথ্যা কথা বলবেন না। মিথ্যার দিন শেষ। পুলিশের ওপর হামলা করবেন, ঢিল মারবেন, পুলিশ কি আঙুল চুষবে?'

তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে আর কোনো খেলা খেলবেন না। নির্বাচনে আইসা যান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এআরআই

আর্কাইভ