 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
 
                 
                            
              রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী কয়েকটি দল ও জোটের গণমিছিলের কর্মসূচি ঘিরে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সতর্ক পাহারা’ বসিয়েছে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির দাবি, রাজনৈতিক অপশক্তির নৈরাজ্য সৃষ্টি বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ অবস্থান।
ছাত্রলীগ এই পাহারাকে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-সংবিধান বিরোধী অপতৎপরতার’ প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি বলছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন সংগঠনটির ইডেন কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা। এসময় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। ছাত্রলীগের এ অবস্থান থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
বিএনপির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সকাল দশটা থেকে রাজধানীর পল্টন ও বিভাগীয় শহরগুলোতে ‘গণঅবস্থান’ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট। তাদের এ অবস্থান চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
শাহবাগে ছাত্রলীগের অবস্থানের বিষয়ে সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমরা আজকে এখানে অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও পেট্রোল বোমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়ে উন্নত দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই দেশে-বিদেশে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পঁচাত্তরের ঘাতকদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সেই বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এদেশকে আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। গণঅবস্থানের নামে যদি গণহয়রানির চেষ্টা করা হয় তাহলে এর দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত। তাদের মোকাবিলা করার বিষয়টিকে ছাত্রসমাজ নৈতিক দায়বদ্ধতা বলে মনে করে। সেই জায়গা থেকে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা, নিজেদের ভবিষ্যৎকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে ছাত্রসমাজ অপশক্তিকে প্রতিরোধের জন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      