• ঢাকা রবিবার
    ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান বিএনপির

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ০১:১৪ এএম

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান বিএনপির

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

সোমবার দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী এ ফোরামের ভার্চুয়াল সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, সারাদেশে অস্বাভাবিক নারী নির্যাতন বৃদ্ধি এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে ঢাকায় নারী সমাবেশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সমাবেশের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

এ বিষয়ে প্রস্তুতি ও সমন্বয় করার জন্য জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানকে আহ্বায়ক করে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করবে দলটি। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্থায়ী কমিটির এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির ওই ভার্চুয়াল সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভায় অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল জানান, সভায় বর্তমান অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ সংকট বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সভা মনে করে, বর্তমান অবৈধ সরকারের নজীর বিহীন দূর্নীতির কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। জবাবদিহীতার অভাবে দূর্নীতির লক্ষে অপরিকল্পিতভাবে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যতীত ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান, ভারতের আদানী গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বৎসরের অসম বিদ্যুৎ চুক্তি আজকের সংকটের প্রধান কারন। অসহনীয় লোডশেডিং, শিল্প ও কৃষিখাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঘাটতি এবং জ্বালানী ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা সর্বোপরি এ খাতকে দূর্নীতির জন্য প্রধান খাত হিসেবে নেওয়ায় বিদ্যুতের মূল্য বারবার বৃদ্ধি করে জনগণের অসহনীয় দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে সংকটের সৃষ্টি করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভায় গণ-বিরোধী প্রস্তাবিত বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। সভা মনে করে উচ্চমূল্যস্ফীতির চরম দুরাবস্থার বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মাঝেও করযোগ্য নয় এমন  টিনধারীদের ওপর ন্যূনতম দুই হাজার টাকা আয়কর আরোপের সিদ্ধান্তসহ অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের কোনও বাস্তবসম্মত নীতি গ্রহণ না করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সংকটময় করে তুলবে। এই বাজেট মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি করবে, কৃষি ও শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারনে উৎপাদন নিরুৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক সংকট আরও বৃদ্ধি করবে।

তিনি বলেন, সভা মনে করে প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে শিক্ষার ব্যয়, শিক্ষার উপকরনের মূল্য বৃদ্ধির কারনে শিক্ষার মান উন্নয়নের পথকে বন্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে জনগণের স্বাস্থ সেবা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সর্বোপরি অনুৎপাদন খাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে সার্বিক উৎপাদনশীলতা ব্যহত করা হচ্ছে। ঘাটতি বাজেটের অর্থ সংগ্রহে সুনির্দিষ্ট বাস্তব সম্মত নীতি গ্রহণ না করে গোজা মিলের মাধ্যমে জনগণের প্রতারনা করা হয়েছে। এই বাজেট সাধারণ মানুষকে আরও বেশি দূর্ভোগে ফেলবে।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ