• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

লেনদেনে স্বচ্ছ থাকবেন যে কারণে

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম

লেনদেনে স্বচ্ছ থাকবেন যে কারণে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোরআন-হাদিসে গুরুত্বের সঙ্গে লেনদেনে পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্নভাবে ও নানা আঙ্গিকে এ ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়। যারা মানুষের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, পূর্ণমাত্রায় নেয়। আর যখন অন্যকে মেপে বা ওজন করে দেয় তখন কমিয়ে দেয়। তারা কি চিন্তা করে না, তাদের এক মহাদিবসে জীবিত করে ওঠানো হবে? যেদিন সব মানুষ রাব্বুল আলামিনের সামনে দাঁড়াবে।’ (সুরা মুতাফ্ফিফিন, আয়াত : ১-৬)

কোরআন হাদিসে লেনদেনে স্বচ্ছতা

ক্রয়-বিক্রয়সহ বিভিন্ন সময় আমরা যে চুক্তি করি তা পূর্ণ করার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা অঙ্গীকার পুরো করো।’ অর্থাৎ লেনদেনের বিভিন্ন অঙ্গীকার ও অন্যান্য অঙ্গীকার।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ০১)

আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (স্বাভাবিকভাবে) এ কথাটি বলতেন, ‘যার আমানতদারি নেই; তার ইমান নেই। যার প্রতিশ্রুতি ঠিক নেই; তার দ্বীন নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১২৩৮৩)

অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন, ‘ওজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না; আর আত্মসাতের (বা অবৈধভাবে উপার্জিত) সম্পদের সদকাও কবুল হয় না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২৪; জামে তিরমিজি, হাদিস : ০১)

লেনদেনে নবীজির স্বচ্ছতা

মহানবী (সা.)-এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম ছিল খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা। মহানবী (সা.)-এর ব্যবসায় লেনদেন নির্ভেজাল ব্যবসার অন্যতম দৃষ্টান্ত। ব্যবহারকারীর সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বদা স্বচ্ছতা এবং তাঁর পরিপূর্ণ সততা তাঁকে ইসলামপূর্ব যুগে আল আমিন বা বিশ্বাসী উপাধিতে ভূষিত করেছিল।

বেআইনি পথ পরিহার 

লেনদেনের ক্ষেত্রে বেআইনি পথ পরিহার করে বৈধতার ধারা বজায় রাখতে হবে। লেনদেন চুক্তিতে চুক্তির কোনো শর্ত বা বিধান ভঙ্গ করার পরিণতি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের উল্লেখ থাকতে হবে। মুয়ামালাতের বিধান মোতাবেক যেকোনো লেনদেনের পক্ষগুলোর ওপর চুক্তি পূর্ণ করা বাধ্যতামূলক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করবে।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ১)

যেকোনো পক্ষ লেনদেনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পক্ষকে শর্ত ভঙ্গের পরিণতি ভোগ করতে হবে। শাস্তি হিসেবে তা হতে পারে কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব সম্পাদন,  কোনো ক্ষতি স্বীকার, কোনো সুবিধা বা অধিকারের মেয়াদ স্থগিতকরণ অথবা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ প্রদান।

 

বিএস/

আর্কাইভ