• ঢাকা শনিবার
    ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাফজয়ী মাসুরার বাড়ি ভাঙা হচ্ছে না

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৮:১৮ পিএম

সাফজয়ী মাসুরার বাড়ি ভাঙা হচ্ছে না

প্রতীক ওমর

নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়ে শিরোপা জেতা বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য মাসুরা পারভীনের সাতক্ষীরার বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের দেয়া ক্রস চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সদর উপজেলার ১৩নং লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম এটি মুছে দেন।

মাসুরার বাবা রজব আলী বলেন, জনপথ বিভাগ থেকে এই দাগ দেওয়ার পর থেকে চিন্তায় ছিলাম। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে, তারা সেটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন। সাংবাদিকদের কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।

সাতক্ষীরা সদর ১৩নং লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এটি মুছে দেন। এ সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। মাসুরা আমাদের লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের অহংকার। আমি নিজে হাতে সওজের দেয়া লাল ক্রস মুছে ফেলেছি।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যতদিন না পর্যন্ত মাসুরা পারভীনের পরিবার নিজেদের বাড়ি বাংলাদেশ সড়ক বিভাগের নির্ধারিত জায়গা থেকে সরিয়ে নতুন বাড়ি করবেন। ততদিন পর্যন্ত তাদের (সওজ) কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বেতনা নদীর তীরে বিনেরপোতা এলাকায় মাসুরাদের বাড়ি। সেখানে তার মা-বাবা ও দুই বোন বসবাস করেন। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তাদের ঘরের পেছনের দেয়ালে তিনটি ক্রস চিহ্ন দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মাসুরার বাবা রজব আলী বলেন, ‘২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে আমার মেয়ের একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। আমাদের থাকার জায়গা না থাকার বিষয়টি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর নজরে আসে। তখন তিনি আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আমাকে যে জমি দেয়া হয় সেখানে ১৫ ফুট পানি জমে ছিল। বিভিন্ন দফতরে বহুদিন ছোটাছুটির পর সহায়তা পাইনি। বাধ্য হয়ে মাসুরার বঙ্গমাতা গোল্ড কাপের তিন লাখ টাকা দিয়ে মাটি ভরাট করি। সেই সময় মাসুরা ২৮ দিন বাড়িতে ছিল। তার ইচ্ছা ছিল দুই দিন বাড়িতে থেকে ঢাকায় যাবে। ২৬ দিনের মাথায় মেয়ের খেলার পুরস্কারের টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করি। এরপর মাত্র দুই দিন নতুন ঘরে থেকে ঢাকায় খেলতে চলে যায় মাসুরা।’

জেডআই/এএল

আর্কাইভ