• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতকে হারাতে জ্যোতি-তৃষ্ণাদের প্রয়োজন ১৬০ রান

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২২, ০৯:২০ পিএম

ভারতকে হারাতে জ্যোতি-তৃষ্ণাদের প্রয়োজন ১৬০ রান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী এশিয়া কাপের গুরুত্বপুর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৬০ রানের জয়ের চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়েছে ভারতের মেয়েরা। আগে ব্যাট করতে নেমে স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মার দারুণ ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে প্রতিবেশি দেশটি।

শনিবার (৮ অক্টোবর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ভারত। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে থাকা স্মৃতি মান্ধানা এদিন শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। বাংলাদেশের বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ে নিজের চেনা ছন্দ ফিরিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। মিড উইকেট, এক্সট্রা কভার দিয়ে খেলেছেন দারুণ সব শট।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফারিহা তৃষ্ণার দ্বিতীয় বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে এক্সট্রা কভার দিয়ে দুর্দান্ত এক চার মারেন স্মৃতি। সময় যত গড়িয়েছে ব্যাটিংয়ের ধার ততই বাড়িয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মাও এদিন শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেছেন। লম্বা সময় ধরে ছন্দের খোঁজে থাকা শেফালি ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ চার বলে মেরেছেন একটি ছক্কা ও দুটি চার। ফারিহার সেই ওভার থেকে আসে ১৭ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নাহিদা আকতারের উপর চড়াও হন স্মৃতি। প্রথম তিন বলে তিন চার মেরে সেই ওভার থেকেও ১৭ রান তুলেছেন তারা। তাতে পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তোলে ভারত। এরপর রানের গতি কমতে থাকে ভারতের। পাওয়ার প্লের পরের তিন ওভারে তারা যোগ করেছে ১৮ রান। তবে দশম ওভারে ১৪ রান নেয় তারা। ফলে প্রথম ১০ ওভারে ভারতের স্কোরবোর্ডে রান বিনা উইকেটে ৯১।

১০ ওভারের পর অবশ্য খানিকটা আঁটসাঁট বোলিং করার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের বোলাররাও। তাতে সফলও হয়েছেন ফাহিমা খাতুন ও সানজিদা আকতার মেঘলারা। ১২তম ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ফাহিমার বলে কভার ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন শেফালি। তবে বল সরাসরি ফিল্ডারের কাছে গেছে রান নেয়া থেকে ফিরে আসেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা স্মৃতি উইকেট থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসেছিলেন।

দ্রুত সময়ের মাঝে ফিরতে না পারায় রান আউটে কাটা পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৮ বলে ৪৭ রান করা স্মৃতি। বাঁহাতি এই ব্যাটার ফেরার পর ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শেফালি। ২০ টি-টোয়েন্টি পর অর্থাৎ ২০২১ সালের মার্চের পর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেলেন ডানহাতি এই ওপেনার। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি শেফালি। লেগ স্পিনার রুমানা আহমেদের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৪৪ বলে ৫৫ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার।

শেফালি ফেরার পর দ্রুতই আউট হয়েছেন রিচা ঘোষ ও কিরন নাভগিরে। রুমানা অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেয়া বলে টাইমিং করতে না পেরে লং অনে ফারজানা হকের হাতে ক্যাচ দেন ৪ রান করা রিচা। পরের বলে কিরনকেও ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন রুমানা। তবে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। পরের ওভারে বোলিং এসে হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন রুমানা। তবে জেমিমাহ রদ্রিগেজের রিটার্ন ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি ডানহাতি এই লেগ স্পিনার।

তাতে সুযোগ পেয়েও হ্যাটট্রিক করা হয়নি তার। নিয়মিত উইকেট হারালেও শেষ দিকে ভারতের রান দেড়শ পার করেছেন জেমিমাহ। শেষ পর্যন্ত ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন রুমানা, একটি উইকেট পেয়েছেন সালমা খাতুন।

জেডআই/

আর্কাইভ