 
              প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ০৪:১০ পিএম
-20230428041003.jpg) 
                 
                            
              তৃতীয় পুরুষ দল হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫০০তম জয়ের রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান। এর আগে এই রেকর্ড ছিল শুধু অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের দখলে। অনন্য এই মাইলফলক ছোঁয়ার রাতে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাবর আজমের দল।
স্বাগতিক পাকিস্তানের দারুণ এই জয়ে ম্লান হয়ে গেছে কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেলের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন স্বাগতিকরা।
রান তাড়ায় ফখরের সঙ্গে ইমাম-উল-হকের ১২৪ রানের ওপেনিং জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে অনেকটাই পেছনে ফেলে পাকিস্তান। ২২তম ওভারে সে জুটি ভাঙেন ইশ সোধি, ৬৫ বলে ৬০ রান করা ইমামকে এলবিডব্লু করে। ইমাম ফেরার পর বাবর আজমকে নিয়ে ফখর গড়েন ৯০ রানের জুটি। ৫৩ বলে ফিফটি করেছিলেন ফখর, ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে এ বাঁহাতির লেগেছে ৯৯ বল।
ফিফটির ১ রান আগেই অবশ্য থামেন বাবর, শান মাসুদও ফেরেন দ্রুতই। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ফখর ছিলেন আরও কিছুক্ষণ, ৪৩তম ওভারে তার আউট হওয়ার সময় পাকিস্তান ছিল নিরাপদই। এর পর সালমান আগা ফিরলেও ৪২ রানে অপরাজিত রিজওয়ান পাকিস্তানকে জয় এনে দেন।
ব্যাটিংয়ে ফখর তার সেঞ্চুরি ইনিংসেই ছিলেন উজ্জ্বল। এর আগে বোলিংয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাসিম শাহ এদিন পেয়েছেন মাত্র ২ উইকেট। কিন্তু এ ফাস্ট বোলারের ১০ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগারই ছিল ম্যাচে দুই দলের বড় একটা পার্থক্য।
প্রথম ৪ ওভারে নাসিম দেন মাত্র ৮ রান। যদিও পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তার জায়গায় বোলিংয়ে আসা হারিস রউফ। চ্যাড বোজ কট বিহাইন্ড হলে ভাঙে ৪৮ রানের ওপেনিং জুটি। পরের উইকেট পেতে পাকিস্তানকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মিচেল ও ইয়াং ১০১ বলে যোগ করেন ১০২ রান। ৫১ বলে ৫০ পূর্ণ করা ইয়াং গতি বাড়ান ফিফটির পর। পরের ২৬ বলে করেন ৩৬ রান। তবে শাদাবের একটু বাড়তি স্পিনের ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন তিনি।
মিচেলের সঙ্গে টম লাথামের জুটিতে ৭৯ বলে ৭২ রান ওঠে ঠিকই, কিন্তু লাথাম ঠিক স্বচ্ছন্দে ছিলেন না। সে জুটিতে তার অবদান ৩৬ বলে ২০ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদির ফুলটস মিস করে তিনি এলবিডব্লু হন, সেটিতে আবার রিভিউও নেন। লাথামকে বাঁচাতে পারেনি সে রিভিউও।
লাথাম আউট হওয়ার সময় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিচেল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তিনি পান ১০৩তম বলে, আফ্রিদিকে চার মেরে। ক্রিজে সেঞ্চুরি করা মিচেল, ৪৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৪৩ রান—নিউজিল্যান্ড বড় স্কোরের পথে ছিল তখনো। পরের ওভারে মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেটের পরই যেন সে পথ হারিয়ে ফেলে কিউইরা। চ্যাপম্যানের উইকেটও নেন রউফ।
বাবর নাসিমকে টানা বোলিং করাননি। তবে যখনই এনেছেন, নাসিম তৈরি করে গেছেন চাপ। আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার নাসিম পান ইনিংসের শেষ ২ বলের ২ উইকেটে। মিচেল অবশ্য ফেরেন ৪৭তম ওভারেই, আফ্রিদির বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে। শেষ ১০ ওভারে ৬৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
বিএস/
 
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      