• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেশনের চেয়ার দখলের আড়ালে চলে অপরাধের সাম্রাজ্য

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩, ০৫:১৬ পিএম

ফেডারেশনের চেয়ার দখলের আড়ালে চলে অপরাধের সাম্রাজ্য

ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হতে চান সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা ও আমির হোসেন বাহার। এদিকে বিতর্কিতদের ঠেকাতে কোনো আইন নেই বলে দায় এড়ালেন অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল সিংহ। এ নিয়ে একেবারেই নীরব অবস্থানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও। অভিযোগের তদন্ত করে বিতর্কিতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ ক্রীড়া সংগঠকদের।

দেশের ক্রীড়াঙ্গন সরগরম বাফুফের কাণ্ডে। এর মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের দুই বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদকের নানা কাণ্ড। অখেলোয়াড়দের খেলানো, মানবপাচারের সন্দেহসহ ব্যর্থতার গ্লানি, সবই মাথার ওপর আছে জোবায়েদুর রহমান রানা ও আমির হোসেন বাহারের। এসব অপরাধের বোঝা মাথায় নিয়ে আবারও চেয়ার দখলের লড়াইয়ে এই দুজনের সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। অভিযোগের পক্ষে বিপক্ষে জবাব আর পাল্টা জবাব দিতে যেন সিদ্ধহস্ত তারা।

নির্বাচন শুরুর আগেই চায়ের কাপে ঝড়, কথার লড়াইয়ে পক্ষে বিপক্ষে কাদা ছোড়াছুড়ির ঘটনা তো আর নতুন কিছু নয়। গত বছর ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে পাকে তালগোল, আর তাতেই দায়িত্ব চলে যায় অ্যাডহক কমিটির হাতে। নির্বাচনের আগে আবারও গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি অভিযুক্তদের। এ নিয়ে গা বাঁচিয়ে নীরব ভূমিকায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক সংস্থা।

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুল রহমান রানা বলেন, ‍‍`আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিশ্ব ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে আমাদের খেলার যোগ্যতা নেই। ২০১৬ সাল পর্যন্ত কোনো দূতাবাস আমাদের নিয়ে অভিযোগ করেনি। আমার দেখা মতেও আমি কখনও এমন অভিযোগ পাইনি। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন থেকে আমরা যদি কাউকে পাঠাতে চাই, তবে তাকে চার-পাঁচটা স্টেপ পার করে যেতে হয়। এটা এত সহজ নয়।‍‍`  

এদিকে নির্বাচনের আগে অভিযোগের যাচাই-বাছাইয়ের দাবি ওঠে বারবারই। তবে তদন্ত আর হয় না। বিতর্কমুক্ত ব্যক্তিদের দায়িত্বে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিলেন ক্রীড়া সংগঠকদের।

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির বাহার বলেন, ‍‍`আমার ওপর একটাই অভিযোগ, আর তা হচ্ছে লিগ। আমি কোনো লিগ আয়োজন করতে পারিনি শত চেষ্টা করেও। তখন ক্লাবগুলো আন্তরিক ছিল না, তবে এখন সে ক্লাবগুলো নির্বাচনের জন্য খুবই আন্তরিক। সে ক্লাবগুলোর সঙ্গে সাতটা বৈঠক করেও লিগ আয়োজন করতে পারিনি। এটাই আমার ব্যর্থতা।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিংবা গঠিত নির্বাচন কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান না নিলে আবারও ক্ষমতার অপব্যবহারে রসাতলে যাবে দেশের ব্যাডমিন্টন। সংকটপূর্ণ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের প্রত্যাশা সবার।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ