প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
দিনের চতুর্থ বলে ম্যাথিউ হামফ্রেস পরাস্ত করলেন মুশফিকুর রহিমকে, বল লাগল প্যাডে। জোরালো আবেদনের পর আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে ওই সেকেন্ডের ভগ্নাংশ যে বিরাট কাঁপুনি দিয়ে গিয়েছিল সমর্থকদের বুকে, তা একরকম নিশ্চিত। পরের বলও ব্যাটের কানা এড়িয়ে গিয়ে জমা পড়ল কিপারের হাতে। ওভার শেষ হামফ্রেসের, মুশফিকের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হলো আরও একটু।
তবে সে অপেক্ষাটা শেষ হয়ে গেল পরের ওভারেই। জর্ডান নেইলের ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিতেই ইতিহাস এসে লুটিয়ে পড়ল মুশফিকুর রহিমের। ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম।

গতকাল ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনি তিনি ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারটি মেডেন দেন মুশফিক। পরের ওভারে আর দেরি করেননি। ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিতে মুশফিক খেলেন ১৯৫ বল, হাঁকিয়েছেন মাত্র ৫টি চার! এর পরপরই ফিফটি তুলে নেন লিটন।
ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে মাত্র ১১জন ব্যাটার শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন। প্রথম সেঞ্চুরি আসে ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের কলিন কাউড্রের ব্যাট থেকে। বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৪ রান করে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ শততম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে লাহোরে খেলেন ১৪৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্টলি গ্রিনিজ, ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হক যোগ দেন এই অভিজাত তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং অবশ্য একটা জায়গায় অনন্য। ২০০৬ সালে সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শততম ম্যাচে তিনি দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। ইনিংস দুটি ছিল ১২০ ও অপরাজিত ১৪৩ রানের। ২০১০-এর পর এই তালিকায় যুক্ত হন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ (১৩১) ও হাশিম আমলা (১৩৪)।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে নিজের শততম টেস্টে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনাযক জো রুট খেলেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। ২১৮ রানের ইনিংসটাই শততম টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। সর্বশেষ ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২০২২ সালের বক্সিং ডে টেস্টে সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ইনিংসটি ছিল ২০০ রানের। মুশফিককে দিয়ে এবার পূর্ণ হলো একাদশ।