প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম
ভাষা সৈনিক ফৌজিয়া বেগম বেবী
১৯৫২। ভাষা আন্দোলনে উত্তাল নীলফামারীর পথ-ঘাট, অলি-গলি। শ্লোগানে-শ্লোগানে মুখরিত চারদিক। টগবগে তরুণ-তরুণী ও জনতার বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে প্রকম্পিত আকাশ-বাতাস।
ভাষার দাবিতে সে সময় নীলফামারী মহকুমায় যে ক`জন শিক্ষার্থীর ভূমিকা ছিলো অগ্রগণ্য, তাঁদেরই একজন ছিলেন ফৌজিয়া বেগম বেবী।
নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেট্রিক পরিক্ষার্থী বেবী ভাষার জন্য সময়ের দাবিতে ছিলেন অটল, অতন্দ্র প্রহরী। ছাত্রীদের সংগঠিত করাই ছিল তার প্রধান কাজ। তিনি ভাষা আন্দোলনের জন্য পেছনে ফিরে তাকানোর কোন ফুসরতই খোঁজেননি। আন্দোলনের প্রয়োজনে জমানো অর্থ বিলিয়েছেন আন্দোলনে। মুখে ভাষার শ্লোগান নিয়ে রাজপথে সহযাত্রীদের সাথে রেখেছেন দীপ্তভরা পদক্ষেপ। নির্ভীক সৈনিকের মতো শত্রু হননে ছিলেন সন্মুখ সারির ভাষা নেত্রী। থেকেছেন গোপন মরামর্শ সভাতেও। তার কাছে রাত - দিন বলে কিছু ছিলো না।
ফৌজিয়া বেগম বেবী ভারতের পশ্চিম বাংলার কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থানার প্রধানপাড়ায় জন্মগ্রগণ করেন। বাবার নাম ফজলুল করীম প্রধান। মা আজিজা খাতুন। ৩ভাই ১বোনের ভেতর বেবী ছিলেন সবার বড়।
১৯৫৮সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বেবী। বর বুনেদি এক পরিবারের সন্তান। মীর আজিজুল হাকিম (যিনি `দাদুভাই` নামে সবার কাছে পরিচিত)। ঘর বেঁধেছিলেন নীলফামারী শহরের সবুজপাড়ায়। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জননী ছিলেন।
বেবী সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ডোমার উপজেলা শাখায় সেলাই প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অতপর; ২০০১সালের ১৯অক্টোবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভাষা সৈনিক ফৌজিয়া বেগম বেবী শেষ নি;শ্বাস ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান।
লেখক : সুজা মৃধা
নীলফামারী থেকে