• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে পৈতৃক সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরীর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২, ১২:৩৫ এএম

বাগেরহাটে পৈতৃক সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরীর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পিঁপড়ারডাঙ্গা গ্রামে পৈতৃক রেকডীয়  সম্পত্তির উপর দিয়ে সরকারি রাস্তা তৈরীর প্রতিবাদে শতাধিক সংখ্যালঘু নারী পুরুষ মানববন্ধন করেছে । সোমবার দুপুরে উপজেলার পিঁপড়া ডাঙ্গাগ্রামে  সংখ্যালঘু নারী পুরুষ এ মানববন্ধন করে ।

মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, এই সম্পত্তি বিপ্ররায়ের  বাবার ক্রয়কৃত জমি এবং তাদের নামে রেকর্ড রয়েছে, এনিয়ে আদালতে ও মামলা রয়েছে।  সেই খানে কিভাবে সহকারী কমিশনার ভূমী কর্মকর্তা এসে রাস্তার র্নিমানের অনুমতি প্রদান করে  এসময় তারা আরো বলেন  হিন্দুরা কোথায় যাবে কিভাবে সুষ্ঠ বিচার পাবে। এভাবে যদি রেকডীয় সম্পত্তির উপর ক্ষোদ সরকারী ভূমি অফিস থেকে মেপে রাস্তার সিমানা নির্ধারন করে দিয়ে যায়  তাহলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য হবে। 

পূর্ণিমা রায় বলেন এটা বিপ্ররায়ের বাবার ক্রয় করা সম্পত্তি এই জমিতে কারো আসার সুযোগ নেই এবিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।

চুমকী রায় বলেন, আমার ঠাকুর দাদার রেকডিও সম্পত্তি জোর করে একটি মহল এসিল্যান্ডকে ভূল বুঝিয়ে এই  জায়গার উপর রাস্তা করছে, তারা জোর করে এই জায়গার উপর রাস্তা করছে, হিন্দুদের উপর এত নির্যাতন করা হলে আমরা কিভাবে বাঁচবো এই দেশে ।

এলাকার পংকজ রায় বলেন, এই জমি নিয়ে আদালতে  মামলা চলে বিপ্ররায় এর বাবার ক্রয় কৃত সম্পত্তি রবিবার চিতলমারীর সহকারী কমিশনার ভূমী পিলার দিয়ে লাল পতাকা দিয়ে জেলা প্রশাসকের একটি সাইন বোড লাগিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা হতভাগ হয়েছি কি করে সম্ভব আদালতে মামলা থাকা সত্বেও এখানে রাস্তার সিমানা নির্ধারন করে দেয়। সাধারন মানুষের সবশেষ আশ্রয় স্থল আদালত সেখানে গিয়েও রক্ষা পাচ্ছিনা তাহলে কি আমরা সংখ্যালঘুরা এদেশ ছেড়ে চলে যাব।

এবিষয় বিপ্র রায় বলেন, এই সম্পত্তি আমার বাবার ক্রায় কৃত এবং আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি আমাদের নামে রেকর্ড কৃত যায়গা। একই জমিতে যদি খাস বা সরকারি জমি হয়ে যায় তাহলে তো কাগজে থাকবে যে এই দাগে কতোটুকু জমি খাস হয়েছে এবং কোন পাস থেকে হয়েছে উল্লেখ থাকবে কিন্তু তারা তো তাদের ইচ্ছে মতো নিতে পারে না।

এ ব্যাপারে সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াডের মেম্বার রাবিন্দ্রনাথ বিশ্বাস  বলে আমি কারো রেকর্ডিয় সম্পত্তিতে কোনো রাস্তা র্নিমান করার পক্ষে না তবে রাস্তাটা সমোঝতার মধ্যেমে হয় এটা দাবি।

 

এবিষয় চিতলমারী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমী বেদবতী মিস্ত্রী  বলেন, উপজেলার কিত্তন খালী মৌজার ২৯৯৪ দাগের বিআর এস ১ নং খতিয়ানের সরকারের পক্ষে জেলা প্রসাশকের নামে রেকড ভূক্ত হয়ে গেছে ৭২ শতক জমির মধ্যে ২৬ শতক জমি সিমানা নির্ধারন করে এসেছি আমি কোন রেকডিও সম্পত্তির উপর ডিমার্কেশন করিনি।

 

 

এসএই

 

 

আর্কাইভ