• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেন খনন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ০৭:৩৯ পিএম

কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেন খনন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

জমি নষ্ট করে ডিপ টিউবলের ড্রেন খনন করে পাইপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে বেলকুচি উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত আ. মজিদ মোল্লার পুত্র প্রভাবশালী সাইফুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা উপায় না পেয়ে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আমবাড়ীয়া মৌজায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত শ্যালো মেশিন দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিল সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের, সোরহাব আলী, তারা মিয়া, সুলতান শেখ ও ওয়াজেদ আলী শেখসহ স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু আমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মোল্লা ডিব টিউবওয়েল স্থাপনের লক্ষ্যে শ্যালো মেশিন মালিকদের সদস্য করে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেন ২০১৭ সালে। এই নিয়ে স্থানীয় শ্যালো মেশিন প্রজেক্ট মালিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন এবং এটা গণশুনানির মাধ্যমে ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে যার যার এরিয়ার মধ্যে সে তার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তবে একজন যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয় এই মর্মে উপস্থিত দুই পক্ষের সম্মতিতে মীমাংসা হয়। কিন্তু কয়েক বছর পরে আবারও অনৈতিকভাবে কৃষকদের সরিষা ফসল জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক ড্রেন করণ করছে সাইফুল ইসলাম মোল্লা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাঁধা দিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা উপায় না পেয়ে আবারও বেলকুচি নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করছেন।

এই বিষয়ে স্থানীয় কৃষক সোরহাব আলী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি শ্যালো মেশিন দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলাম হঠাৎ করেই আমার সরিষা ফসলের জমি নষ্ট করে জোরপূর্বকভাবে ড্রেন খনন করছে সাইফুল ইসলাম মোল্লা, আমি তাকে বাঁধা দিলে সে আমাকে হুমকি, ধামকি দিচ্ছে এবং হয়রানি করছে।

আরেক কৃষক তাঁরা মিয়া বলেন, সাইফুল ইসলাম মোল্লা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় সে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমাদেরকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। উপায় না পেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কৃষকদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে রিপোর্ট করার দরকার নেই আপনাকে বিকাশে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি আমার বিষয়টি দেইখেন, এই প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি, অভিযোগ পেলে অতি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলে, জানান তিনি ।

 

 

সজিব/এএল

আর্কাইভ