 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০১:৫৩ এএম
 
                 
                            
              রাতে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে বিয়ে করে পরদিনই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন এক তরুণী। এসময় তার স্বামীকে পাশে থাকতে দেঘা গেছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী নগরীর আসাম কলোনী এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
নববধূর নাম ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১)। বাড়ি রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর বৌ বাজার এলাকায়। তার স্বামীর নাম ফজলে রাব্বী (২৬)। তার বাড়ি রামচন্দ্রপুর বৌ বাজার এলাকায়। রাব্বী ব্যবসা করেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাব্বী ফাতেমাকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিয়ে করেন। সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছেন তিনি। কেউ তাকে জোর করে বাড়ি থেকে আনেনি। ফাতেমা বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসেছি। এখন শুনছি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’
সংবাদ সম্মেলনে ফজলে রাব্বী জানান, চার বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু ফাতেমার বাবা-মা বিয়ে দিতে চাননি। মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এতেও প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে না পেরে ২০১৯ সালের দিকে ফাতেমাকে সৌদি আরবে নিয়ে জোর করে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ফাতেমা সেখানে সংসার করতে পারেনি। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেড় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে আসে। এরপর থেকে বাড়িতে তার ওপর নির্যাতন চলছিল।
রাব্বী বলেন, ‘এখন ফাতেমার পরিবার থেকে হয়ত অপহরণের মামলা করা হবে। পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করবে। জেল খাটতে হবে। এর সবই জানি। সবকিছুর জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখছি। আর আস্থা রাখছি ফাতেমার ওপর। মামলা হলে ফাতেমা আদালতে গিয়ে বলবে যে কেউ তাকে অপহরণ করে আনেনি। প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসে বিয়ে করেছেন।’
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাতেই ফাতেমার পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। তারা অপহরণের অভিযোগ আনছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দিতে এলে নিতে হবে। আবার একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে নিজের ইচ্ছায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সব কিছুই আইনগতভাবে দেখা হবে।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      