• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছুটির দিনে সরব সাজে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০১:২৭ পিএম

ছুটির দিনে সরব সাজে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

ছুটির দিনে সরব সাজে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ছুটির দিনের আনন্দে সমুদ্রস্নানে মেতেছে লাখো পর্যটক। সাগরতীর জুড়ে লোকে-লোকারণ্য। বালিয়াড়িতে নেচে-গেয়ে ও সাগরের নোনাজলে সমুদ্রস্নানে মেতেছেন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুরা। সাগরে আনন্দ করতে এসে দুর্ঘটনা এড়াতে মাইকিং ও পর্যটকদের সচেতন করছে সিআইপিআরবি’র কর্মীরা। আর নিরাপত্তা জোরদার থাকায় পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজার ঘুরছেন বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন  সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে নাচে মেতেছেন একদল ভ্রমণপিপাসু। রয়েছে ৩২ জন। সবাই ঘণ্টাব্যাপী মনের আনন্দ নাচ করেন। তারপরই সাগরের নোনাজলে দৌঁড় দেন সমুদ্রস্নানে।
সৈকতের সী গাল পয়েন্টে বালুচরে বালি নিয়ে খেলা করছে শিশুরা। মাঝে মাঝে সমুদ্রস্নান সেরে তাদেরকে দেখতে আসেন মা-বাবারা। তারপর আবারো সমুদ্রস্নানে ফিরে যান সাগরজলে।
একই অবস্থা সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের প্রবেশদ্বারগুলোতে। পর্যটকরা সমুদ্রের নামতেই কেউ উঠে পড়ছেন ঘোড়ার পিঠে, আবার কেউ উঠছেন বিচ বাইকে। তবে, সবচেয়ে বেশি মানুষ মেতেছেন সাগরের নোনাজলে। যেন সাগরতীরে সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
বেলা ১২টা না বাজতেই ৩ কিলোমিটার সাগরতীরে লাখো পর্যটক। তাই পর্যটকরা আনন্দ করতে এসে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়, তার জন্য মাইকিং করছে সিআইপিআরবি’র নারীকর্মীরা। একইসঙ্গে পর্যটকদের ছবি দেখিয়ে সমুদ্রস্নানে নানা দিক-নির্দেশনাও দিচ্ছেন তারা।
সিআইপিআরবি’র কমিউনিটি এডুকেটর আফিয়া আক্তার বলেন, সৈকতের ৩টি পয়েন্টে পর্যটকদের সচেতন করতে হেঁটে-হেঁটে মাইকিং করছি। আবার অনেক পর্যটকের সঙ্গে কথা-বার্তা বলছি। তাদেরকে বুঝানো চেষ্টা করছি, লাল-হলুদ পতাকার মধ্যে সমুদ্রস্নান করতে। আর লাল পতাকার মধ্যে যাতে সমুদ্রস্নান না করে। একইসঙ্গে সমুদ্রস্নানের সময় শিশুদের নিয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকতে।
সী-সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, সমুদ্রস্নানে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ৩ স্তরের কাজ করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, সমুদ্রস্নানে কোন পর্যটক যাতে দুর্ঘটনায় না পড়ে।
এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে লাখো পর্যটকের কথা মাথায় রেখে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে টহল জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তারা বলছেন, নিরাপত্তা জোরদারের কারণে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজারে ঘুরছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান বলেন, লাখো পর্যটকের নিরাপত্তায় সৈকতের সার্বক্ষনিক টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল মোটেল ও কটেজ জোনেও নিরাপত্তার কমতি নেই। বিশেষ করে, সৈকতে পর্যটকদের কেউ যাতে হয়রানি করতে না পারে তারজন্য আমরা সজাগ রয়েছি। এখন সৈকত এলাকা অনেকটা হকারমুক্ত। সবমিলিয়ে পর্যটক কক্সবাজারে স্বাচ্ছন্দে ঘুরছে এবং আনন্দ করছে।


কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও পর্যটকরা হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী, পাতুয়ারটেক ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ করছেন।


এনএমএম /

আর্কাইভ