• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

গোপন ভিডিও ফাঁসের হুমকি, পরকীয়া প্রেমিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যা করলেন প্রেমিকা

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম

গোপন ভিডিও ফাঁসের হুমকি, পরকীয়া প্রেমিকের উপর  ক্ষিপ্ত হয়ে যা করলেন প্রেমিকা

ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় মারিয়া আক্তার ওরফে মাবিয়া (২৪) নামে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রবাসী স্বামীর কাছে পরকীয়ার গোপন ভিডিও ফাঁসের হুমকি দেওয়ায় প্রেমিকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে  গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া চরপাড়া গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। মাবিয়া একই গ্রামের মৃত এরন ব্যাপারীর মেয়ে।

মাবিয়ার বাবার বাড়ির পরিবার জানান, স্বামীর পরিবারের সঙ্গে ঝামেলার কারণে দুই সন্তান নিয়ে কিছুদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন মারিয়া। গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) রাতের কোনো এক সময় গলায় ফাঁস নিয়ে ঘরের ভেতর আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাবিয়ার বাবার বাড়ির এক ব্যক্তি জানান, সাত বছর আগে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার পুর্ব উজানচর গ্রামে মো. হাফিজুল শেখ সঙ্গে বিয়ে হয় মাবিয়ার। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। জীবিকার তাগিদে চার বছর আগে স্বামী হাফিজুল প্রবাসে পাড়ি জমান। এই সুবাদে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মাবিয়া। কিছুদিন পর প্রেমিক যুবকের সঙ্গে মাবিয়ার কলহ সৃষ্টি হয়।

ঘটনাটি নিয়ে প্রবাসী স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গে মাবিয়ার একাধিকবার ঝামেলা হলে তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন। 

বাবার বাড়ি আসার পর ওই প্রেমিক বারবার ফোন করে মাবিয়াকে বলে, পরকীয়ার গোপন ভিডিওসহ সব ডকুমেন্টস তার স্বামীর কাছে প্রকাশ করে দেবেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাবিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে অভিযুক্ত প্রেমিক যুবকের নাম বা পরিচয় জানাতে পারেননি ওই ব্যক্তি।

লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা সালথা থানার এসআই আব্দুল বাছেদ বলেন, খবর পেয়ে মাবিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে একেকজন একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছে। তবে মাবিয়া সম্ভবত পরকীয়ার জেরে আত্মহত্যা করেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।

আর্কাইভ