• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কৃষি আবহাওয়া যন্ত্রপাতি

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম

অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কৃষি আবহাওয়া যন্ত্রপাতি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

কৃষকদের কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক নির্ভরযোগ্য তথ্য ও পূর্বাভাস জানাতে রাজবাড়ী জেলার ৫ টি উপজেলায় পাঁচ বছর আগে স্থাপন করা হয় তথ্য বোর্ড, স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র ও সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। তবে গত পাঁচ বছরে এসব যন্ত্রপাতির কোনটিই সচল হয়নি। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জেলার ৪২ টি ইউনিয়ন পরিষদে এসব আবহাওয়া যন্ত্রপাতি স্থাপন করে। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের জুন মাসে। তবে প্রকল্প শেষ হলেও চালু হয়নি এসব যন্ত্রপাতি। 

সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান ফটকের সিঁড়ির পাশেই লাগানো আবহাওয়া তথ্য বোর্ড। এই বোর্ডের মাধ্যমে কৃষকদের জানার কথা আগামী তিন দিনের বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ ও আলোকঘণ্টা সংক্রান্ত নানাবিধ তথ্য। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। বোর্ডটি লাগানোর মাধ্যমেই কাজ শেষ হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এটি সচল হয়নি। বোর্ডের নিচে দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তার নাম ও ফোন নাম্বার থাকার কথা থাকলেও, সেটি নেই।

রাজবাড়ী জেলার অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদে লাগানো আবহাওয়া যন্ত্রপাতিরও একই অবস্থা। কোথাও আবার ভেঙ্গে পড়ে আছে স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র বা রেইন গজ মিটার, ভেঙ্গে গেছে সৌর প্যানেল। যাদের জন্য কৃষি বিভাগ এত আয়োজন করেছে সেই কৃষক এসবের কিছুই জানে না। জেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরেও কোথাও আবহাওয়া বোর্ডের একটিও সচল পাওয়া যায়নি। এমনকি এসব পরিষদে গিয়ে কোনো কৃষি কর্মকর্তারও দেখা পাওয়া যায়নি।

রামকান্তপুর ইউনিয়নের কৃষক ছবদুল শেখ বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে শুধু তথ্য বোর্ডটিই দেখেছি। কিন্তু এর কার্যকারিতা কখনো দেখিনি।

রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কৃষক শাজাহান মোল্লা বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের এই আবহাওয়া তথ্য বোর্ড থেকে আবহাওয়া বিষয়ক কোন তথ্য বা নিউজ পাইনি।

রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিব মোল্লা বাবু বলেন, আমি এই বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য জানি না। ওই মেশিনগুলো ভালো আছে কিনা বা কারা এর দায়িত্বে আছে তাও বলতে পারবো না। তবে আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আবহাওয়া তথ্য বোর্ড দেখেছি।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদেই আবহাওয়া বোর্ডে নিয়মিত তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদে অটোমেটিক রেইন গেজ নষ্ট হয়ে আছে। সেগুলো মেরামত করার জন্য ইতোমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদে যন্ত্রপাতি ভেঙ্গে গেছে সেগুলো খুব দ্রুত মেরামত করা হবে।

 

বিএস/

আর্কাইভ