• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘প্রেমিককে লাইভে’ রেখে বিবাহিতা কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩, ১১:৪৯ পিএম

‘প্রেমিককে লাইভে’ রেখে বিবাহিতা কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

সিটি নিউজ ডেস্ক

মানিকগঞ্জে বিবাহিতা এক কলেজছাত্রী প্রেমিককে মোবাইল ফোনে লাইভে রেখে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বৈতরা গ্রামের মো. সুমন হোসেনের ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার মোবাইল ফোনে ভিডিও কল চলমান ছিল।

মৃত বিলকিস আক্তার (২৩) স্থানীয় মেঘ শিমুল গ্রামের সোহেল হোসেনের স্ত্রী ও মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সিংজুরী ইউনিয়নের হাটকুড়িয়া গ্রামের মো. বাবু মিয়ার মেয়ে। তিনি মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিলকিসের জন্মের কয়েক বছর পরে তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হয়। পরে প্রায় ১০ বছর ধরে বৈতরা সুমন হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিলকিস। ভাড়া বাড়ি থেকে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে প্রবাসে চলে যান বিলকিসের মা মনোয়ারা বেগম। বর্তমানে মনোয়ারা বেগম প্রবাসেই রয়েছেন।

বাড়ির মালিক মো. সুমন হোসেন জানান, প্রায় ৪ বছর আগে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল গ্রামের সোহেলের সঙ্গে বিয়ে হয় বিলকিসের। বিলকিসের মা বিদেশ থাকলেও ভাড়া বাসা ছাড়েননি। দেড় মাস আগে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভাড়া বাড়িতে উঠেন বিলকিস। এখান থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু বিলকিসের সঙ্গে স্বামী সোহেলের বেশ কিছুদিন ধরে নানান বিষয়ে দাম্পত্য কলহ চলছিল।

সূত্র মতে, ১০-১৫ দিন আগে তার স্বামীর বাড়ির পরিবারের লোকজন তাকে নিতে আসলে স্বামী সোহেলের সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেয়। বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও বলেন। স্বামী সোহেলের পরিবারকে জানায় তার (বিলকিস) সঙ্গে অন্য এক ছেলের সম্পর্ক আছে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় প্রেমিককে মোবাইলে লাইভে কথা বলছিল। তার আগে বিলকিস ঘরের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রাখেন। পুলিশ যখন তার লাশ উদ্ধার করতে যান তখন তার মোবাইল ফোনে ভিডিও কল ছিল। সে জন্য স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন তার প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করতে পারে।

এ বিষয়ে সদর থানার এসআই মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। মৃতের ফোনটি জব্দ করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, লাশটি উদ্ধারের সময় তার মোবাইল ফোনে ভিডিও চলছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

আর্কাইভ