
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ভারত দাবি করেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে তাদের হামলা চালানোর ঘটনা পহেলগাম হামলা-সহ ‘সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রশ্রয়ে’র জবাব দিতেই!
‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’ বা পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি যতটা কম রেখে শুধুমাত্র `সন্ত্রাসবাদী` ঘাঁটি ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও ভারত দাবি করেছে, যেটাকে তারা ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ বলে বর্ণনা করছে।
দিল্লিতে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বুধবার সকালে এ কথা জানানো হয়।
ভারতের হয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং সেনাবাহিনীর তরফে দুজন প্রতিনিধি - স্থলবাহিনীর হয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং, যারা দুজনেই নারী।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, পহেলগামের ঘটনায় ‘দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের যে সংগঠনটি দায় স্বীকার করেছে এবং লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে হামলার ছবি পোস্ট করা হয়েছে তাতে এই ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ স্পষ্ট।
ভারতের একাধিক বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে সে ব্যাপারে ভারত কোনও মন্তব্য করেনি। অভিযানে ভারতের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সেটাও কিছু বলা হয়নি।
সাংবাদিক বৈঠকে কোনও প্রশ্ন নেওয়া হবে না বলে শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
লক্ষণীয় বিষয় হল, শুধু পহেলগাম হামলাই নয়, তার আগে মুম্বাইতে ২৬/১১-র হামলা থেকে শুরু করে ভারতে চালানো আরও বহু হামলায় যে সব `সন্ত্রাসবাদী` জড়িত বলে ভারত মনে করে, তারা যেখানে প্রশিক্ষণ পেয়েছে বলে ভারতের ধারণা, তার সবগুলোই আক্রমণে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্যে সকাল দশটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবনে গিয়ে তাকে সার্বিক সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করেছেন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল তারও বেশ খানিকক্ষণ আগেই সেখানে পৌঁছে যান।