
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় প্রশ্ন সবাই যেটা করে, তা হলো সংস্কার বিচার এবং নির্বাচন। এগুলো কি পরস্পর নির্ভরশীল বিষয়? এগুলো মিউচুয়ালি বিষয়। ইন্টারডিপেন্ডেন্সির ওপরে কোনোটা নেই। তার মানে এগুলো পরস্পর নির্ভরশীল বিষয় নয়।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী সিরডাপ মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারের নাগরিক উদ্যোগে- নাগরিক কোয়ালিশন- আগামীর সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন কামনা করে। এখন নির্বাচন আয়োজনে চ্যালেঞ্জের কথা বলা হচ্ছে, নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়ে। সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা এখনো দেওয়া আছে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবরকমের সহযোগিতা, কর্তৃপক্ষের কাছে চাইলেই দিতে বাধ্য সরকারসহ সব সংস্থা।
তিনি আরও বলেন, অতীতে এই নির্বাচন কমিশন এই ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি। কারণ নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ছিল বেশি। বর্তমানে সেই পরিবেশ নেই। কেয়ারটেকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত এখনো না হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই কেয়ারটেকার ব্যবস্থার আদলেই তার কর্মপরিচালনা করছে। যখন কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে পূর্ণাঙ্গভাবে, তখন কেয়ারটেকার ব্যবস্থার অধীনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই পরবর্তী নির্বাচনগুলো হবে।
‘বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন তাতে করে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কর্মকাণ্ড সেই সময়সীমার মধ্যেই হচ্ছে। বরং বলা যায় ডিলিমেটেশন (সীমানা নির্ধারণ) গ্যাজেট হয়েছে, সেটা আরও অ্যাডভান্স হয়েছে। নির্বাচনে সব কাজ ও আয়োজন প্রস্তুতি সবকিছু সমাপ্ত হবে।’
গোলটেবিল আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপি নেত্রী শ্যামা ওবায়েদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বক্তব্য দেন।