 
              প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম
-20231221074519.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের নাম পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
এর আগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তিনজনকে সন্দেহ করার কথা জানায় তদন্তকারীরা। এদের মধ্যে এক যুবকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। যদিও গতকাল পর্যন্ত তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি।
এদিকে, ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুন দেয়ার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে সিটি নিউজ ঢাকা। দুটি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সৈনিক ক্লাব- প্রায় দুই কিলোমিটারের দূরত্বের মধ্যেই আগুন দেয়া হয় ট্রেনটিতে।
এক মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনটি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন অতিক্রম করছে। এ সময় কোনো ট্রেনে আগুনের দৃশ্য ছিল না।
এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, ট্রেনটি অতিক্রম করছে রাজধানীর সৈনিক ক্লাব এলাকা। এ সময় একটি বগিতে আগুন জ্বলছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। আপাতত মামলাটি রেলপুলিশের কাছে থাকলেও ছায়া তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমাদের সব ধরনের তদন্ত চলছে। নির্বাচন বানচালের জন্য অতীতে যারা জ্বালাও পোড়াওয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল, এ ঘটনাও তারাই ঘটিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্য ছিল তাদের। ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতালকারীরা। ভোর ৫টা ৪ মিনিটে খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর পৌনে ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে একটি বগি থেকে মা-ছেলেসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন: নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াসিন (৩), রশিদ ঢালী ও খোকন।
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      