• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ড. ইউনূসের আইনজীবীর অভিযোগ সঠিক নয়: অ্যাডভোকেট হায়দার আলী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ১১:২৩ এএম

ড. ইউনূসের আইনজীবীর অভিযোগ সঠিক নয়: অ্যাডভোকেট হায়দার আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ড হয়েছে, সেই মামলার বিচারসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বারবার চেয়েও পাচ্ছেন না বলে তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন যে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন এই মামলায় কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী।

বুধবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, শ্রম আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে সাজা দিয়েছেন একটি মামলায়। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধের কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি আপিল করবেন এবং আপিল করার সুযোগ আইনে আছে। আমি যা দেখলাম, শুনলাম এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে যা বুঝলাম তাতে বলা হচ্ছে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব আপিল করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন না এবং তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এখানে হয়রানিমূলক কোনো কিছু দেখছি না। কারণ আপিল করতে হলে আপিলের জন্য যে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, যিনি আপিল করবেন তিনি তা সংগ্রহ করবেন। তিনি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি কোথাও বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তা হলে সেই ব্যাপারে তিনি বলতে পারতেন। কিন্তু সে ধরনের তো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা ইতোমধ্যে এ মামলার  সার্টিফায়েড কপি পেয়েছেন। আপিল করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন, সেটাও তারা পেয়েছেন। এখন তিনি আপিল করবেন। আর আপিল করার জন্য সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর যে সময়টা থাকে, সেই সময়টি আপিলের লিমিটেশন থেকে বাদ যাবে। ওই সময়টা বাদ দিয়েই সময় গণনা করা হয়। কাজেই এখানে হয়রানির তো কোনো প্রশ্নই না। কাজেই হয়রানির যে বক্তব্যটি এসেছে, সেটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং এই বক্তব্যটি সঠিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এখানে আইনের কিছুই ব্যত্যয় হয়নি। ওনারা যদি মনে করেন যে, এক মাসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন না, তা হলে সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন, তাতে তো কোনো অসুবিধা নেই। আইনে সে ব্যবস্থাও আছে।

আর্কাইভ