• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
নারী এশিয়া কাপ

পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ১১:২৮ পিএম

পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

প্রতীক ওমর

নারী এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। নাটকীয় সে ম্যাচে প্রতি মুহুর্তে রোমাঞ্চ আর টান টান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে পঞ্চম বারের মতো এশিয়া বিশ্বকাপ খ্যাত এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো শ্রীলঙ্কা।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবার) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১২২ রান সংগ্রহ করে লঙ্কান নারীরা। জবাবে 
১২৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ সূচনা পেয়েছিল পাকিস্তান। মুনিবা আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। ১০ বলে ১৮ রান করে মুনিবা সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

এরপর সিধরা আমিনও দ্রুতই ফিরেছেন। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে ৯ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন বিসমাহ মারুফ। পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান।

তবে বিসমাহকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ওমাইমা সোহাইল এবং নিধা ধার চেষ্টা করেছেন, তবে দ্রুত রান তুলতে পারেননি। এই দুই জন উইকেটে থিতু হলেও দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত বিসমাহর ৪২ রানের সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে থামে পাকিস্তান নারী দল। আর তাতে ১ রানের জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের হয়ে ১৭ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন ইনোকা রানাভারা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৩.৫ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে উুঠে ২৩ রান। দলটির সেরা ব্যাটার চামারি আত্তাপাতু নিজের ছায়া হয়েই আছেন টুর্নামেন্টে। আগের ম্যাচে ৪১ রান করলেও আজ ফিরেছেন ১১ বলে ১০ রান করে। তবে আরেক ওপেনার আনুষ্কা সানজিওয়ানি ২১ বলে ২৬ রান করে আউট হন।

তিন নম্বরে নেমে হারসিথা সামারাবিক্রমা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৩৫ রান করেন। যদিও খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিরুদ্ধ ইনিংস, বল লেগেছে ৪১ টি। শেষ দিকে বলার মতো স্কোর নেই অন্য কারও ব্যাটে। ২৭ বল ক্রিজে টিকে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি নিলাক্ষী ডি সিলভা।

৬ উইকেটে লঙ্কানদের ১২২ রানের বেশি করতে না পারায় বড় ভূমিকা পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার নাশরা সান্ধুর। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট।

জেডআই/

আর্কাইভ