• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

এমবাপেকে নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের অসভ্যতা! মার্টিনেজকে কড়া ব্যবস্থার হুমকি এবার ফ্রান্সের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ১১:০৬ পিএম

এমবাপেকে নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের অসভ্যতা! মার্টিনেজকে কড়া ব্যবস্থার হুমকি এবার ফ্রান্সের

প্রতীক ওমর

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এমবাপেকে নিয়ে বারবার ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে ভরিয়ে দিচ্ছেন আর্জেন্টিনীয় গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এমন পরিস্থিতিতে রাশ টানতে এবার ফ্রান্স ফুটবল সংস্থার তরফে এবার অভিযোগ দায়ের করা হল। ফরাসি ফুটবল প্রেসিডেন্ট নোয়েল ল্যে গ্রাট সরকারিভাবে চিঠি লিখে জানালেন, মার্টিনেজের ব্যবহার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানিয়েছেন, “আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে জানিয়েছি, এই অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসের বহর অন্তত আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। এটা কোনওভাবেই আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এমবাপের ব্যবহার কিন্তু পরিশীলিত।”

“মার্টিনেজের অভাবে বল ছুঁড়ে ফেলাটা বেশ বিদ্বেষজনক ঠেকেছে আমার। ওরকম অবস্থায় মনের ওপর যে চাপ থাকে, সেটা বুঝতে পারছি। এটাও জানি মুহূর্তের উত্তেজনায় যে কেউ যা কিছু করে ফেলতে পারেন।”

“তবে আমার মনে হয়েছে, এটা পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয়। আপনি যদি চুয়ামেনি হন, এবং মার্টিনেজের পাশ দিয়ে হেঁটে যান, তাহলে আপনার খারাপ লাগতেই পারে। এই বিষয়টা একদম পছন্দ হয়নি আমার। এটাও বোধগম্য যে মার্টিনেজ সেই সময় যেন তেন প্রকারে বিশ্বকাপ জিততে চাইছিলেন।”

“তবে ও যে বল সামান্য কয়েকগজ দূরে ছুঁড়ে দিয়েছিল এমনটা নয়, ও ১৫-২০ গজ দূরে বল পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেই সময়ে চুয়ামেনির মানসিক অবস্থা আমি অনুভব করতে পারছি। এটা মোটেই কাম্য নয়। ওঁকে যদি কার্ড দেখানো হত, সেটাও দেখার বিষয় হত, কারণ পরের পেনাল্টি শটেই ওঁকে কিন্তু কার্ড হজম করতে হয়েছিল।”

আর্জেন্টিনীয় গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ব্যবহারের কড়া নিন্দা করেছেন ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রী আমেলি ওদিয়া কাস্তেরাও। তিনিও আর্জেন্টিনীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। “আর্জেন্টিনীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পুরোদস্তুর সম্ভবনা রয়েছে। পুরো ঘটনা বেশ দুঃখজনক।”

আর্জেন্টিনা ট্রফি জয়ের পর লকার রুমেই এমবাপেকে ব্যঙ্গ করে গান গাইছিলেন মার্টিনেজ। এরপরে দেশে ফিরে পুতুলে এমবাপের মুখ বসিয়ে আর্জেন্টিনীয় সমর্থকদের সঙ্গেও উল্লাসে ফেটে পড়তে দেখা যায় সদ্য বিশ্বকাপ জয়ীকে। সেই সময়ে মার্টিনেজের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন এমবাপের পিএসজি সতীর্থ মেসি।

পুরো ঘটনা শুরু করেছিলেন অবশ্য এমবাপে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন, লাতিন আমেরিকার ফুটবলের থেকে ইউরোপ অনেক উন্নত। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে যাঁর জোরালো জবাব দেন মার্টিনেজ। জানিয়ে দেন, যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, সেই বিষয়ে এমবাপের চুপ থাকাই শ্রেয়।

শুধুমাত্র এমবাপে ইস্যুতেই নয়, গোল্ডেন গ্লাভস পেয়ে সর্বসমক্ষে মার্টিনেজের সেলিব্রেশন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল এর আগে।

আর্কাইভ