• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

৯০ মিনিট খেলেই দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির গোলরক্ষকের!

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০২:১৩ এএম

৯০ মিনিট খেলেই দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির গোলরক্ষকের!

ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক

স্কট কারসনের ভাগ্যই বলতে হয় একে। ম্যানচেস্টার সিটিতে তার সতীর্থরা যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটা জেতার জন্য প্রাণ দেয়ার উপক্রম, তখন বসে বসেই মেডেলটা পেয়ে গেছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম হলেও কারসনের অবশ্য এটি দ্বিতীয় শিরোপা। ১৮ বছর আগে এবারের ফাইনালের ভেন্যু ইস্তাম্বুলেই যে তার প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মেডেলটা জিতেছিলেন এই ইংলিশ গোলরক্ষক।

৩৭ বছর বয়সী স্কট মরিসনের পরিচয় তিনি ম্যানচেস্টার সিটির তৃতীয় গোলরক্ষক। ইংল্যান্ডের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলা এই ৩৭ বছর বয়সি ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত ধারে সিটিজেনদের হয়ে খেলার পর ২০২১ সালে ডার্বি কাউন্টি থেকে তাকে স্থায়ীভাবে কিনে নেয় পেপ গার্দিওলার দল। সিটিজেনদের হয়ে আগের দুই বছর ও পরে আরও দুই বছর মিলে অবশ্য মাত্র ১টি ম্যাচেই মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

মাঠে নামতে না পারলেও অবশ্য অখুশি নন কারসন। বেঞ্চে বসেই যদি শিরোপা জেতা যায়, চ্যাম্পিয়নের মেডেল পাওয়া যায় তবে মাঠে নামার দরকার কি! এই যেমন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক ম্যাচে মাঠে না নেমেও চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা পাচ্ছেন তিনি।

ম্যানচেস্টার সিটির তৃতীয় সেরা গোলরক্ষক হিসেবে স্কোয়াডে ছিলেন কারসন। ছিলেন ফাইনালের স্কোয়াডে। তাই এক ম্যাচেও মাঠে না নামা লাগলেও ঠিকই মেডেল পেয়েছেন তিনি। ১৮ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলেন তিনি। কাকতালীয়ভাবে সেবারও একই মাঠে এবং একই শহরের দলকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল কারসনের দল।

২০০৫ সালে লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন কারসন। সেই আসরের ফাইনালও হয়েছিল এবারের মতোই তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে, যে ফাইনালে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ ছিল ইন্টার মিলানের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলান। এই সেই ফাইনাল যা মিরাকল অব ইস্তাম্বুল নামে ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে। এবারের মতো সেই ফাইনালেও কারসন বেঞ্চে বসে ছিলেন। সেদিন লিভারপুলের এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে গোলবার সামলিয়েছিলেন জর্জি দুদেক।

সিটির হয়ে শিরোপা জিতে মিলানের কিংবদন্তি পাওলো মালদিনির পাশে বসেছেন। মালদিনিরও প্রথম ও শেষ শিরোপার মাঝে ১৮ বছরের ফারাক ছিল, তবে তিনি এই দুই শিরোপার মাঝে জিতেছিলেন আরও তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

মাঠে একবারও না নেমে সিটির হয়ে শিরোপা জেতার পর কারসন টুইট করে দাবি করেন, তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কখনও এক মিনিট না খেলেই দুটি শিরোপা জিতেছেন।

তবে তার এমন দাবি থেকে কিছুক্ষণ পরই সরে এসে আরেকটি টুইট করেন, ‍‍`৯০ মিনিটের কোয়ার্টার ফাইনাল, তোমার গবেষণা ঠিকঠাক করো হে!‍‍` আসলে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে এক মিনিটও খেলেননি তার এমন দাবি আসলে ঠিক ছিল না। লিভারপুলের হয়ে ২০০৫ সালে শিরোপা জয়ের পথে ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে কোয়ার্টার ফাইনালে য়্যুভেন্তাসের বিপক্ষে শুরু থেকে মাঠে ছিলেন কারসন। সে ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন দুদেক। ম্যাচটা ২-১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল লিভারপুল।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ