
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
হংকংয়ের ইংলিশ কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউড ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অনেকটা তচ্ছিল্যের সুরেই বলেছিলেন, ‘হামজা আমার দলের হলে তার জায়গা হতো বেঞ্চে!’
হংকং কোচ কেন এমন কথা বলেছিলেন, তা তিনিই ভালো জানেন। বাংলাদেশ দলকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য নাকি সত্যি সত্যি তিনি হামজা চৌধুরীকে তেমন একটা গোনায় ধরেননি, হয়তো তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
কিন্তু ঢাকা স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে এই হামজা চৌধুরীই পার্থক্য গড়ে দিলেন। ১৩তম মিনিটে হংকং বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। কিক নিতে আসেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা চৌধুরী। হংকংয়ের ইংলিশ কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউড এই কিকেই টের পেয়ে গেছেন, হামজা চৌধুরী কি জিনিস!
বক্সের বাম কোন থেকে নেয়া হামজা চৌধুরীর জোরালো ফ্রি-কিকটি চোখের পলকে গিয়ে সোজা আশ্রয় নিলো হংকংয়ের জালে। একজন ডিফেন্ডার শেষ মুহূর্তে মাথায় ছুঁইয়ে চেষ্টা করেন গোল থেকে দলটিকে বাঁচানোর। কিন্তু হামজার শটের এত বেশি গতি ছিল যে, সেটিকে আর ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
শামিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম এবং জামাল ভূঁইয়াকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ গঠন করেন বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তবুও, ম্যাচের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয় বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। গ্যালারিভর্তি দর্শকদের তুমুল উত্তেজনা যেন হামজাদের খেলার গতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গ্যালারিতে খেলা দেখতে চলে এসেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও।
দুর্দান্ত খেলতে খেলতে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার বাজে অভ্যাসটা দূর করতে পারলো না বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। যার ফলে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে- ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে বসে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। যার ফলে ১-১ গোলে ড্র নিয়েই বিরতিতে গেলো বাংলাদেশ দল।
মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তারিক রায়হান কাজী, শাকিল আহাদ তপু, তাজ উদ্দিন, সাদ উদ্দিন, হামজা দেওয়ান চৌধুরী, সোহেল রানা, সোহেল রানা-২, শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।