• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আবোল তাবোল

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩, ১০:২২ পিএম

আবোল তাবোল

আবোল তাবোল

সেলিনা আক্তার লিনা

সেলিনা আক্তার লিনা

এখন এয়াপোর্টে বসে আছি। দেশের পথে। হাতে বেশ কিছুটা সময় আছে, তাই ভাবলাম কিছু একটা লিখি- যা মনে আছে, যা কলমে আসে তাই। কিন্তু কলম আর এগোতে চায় না। মনে বা কলমে কিছুই আসে না। 
গতকাল আমার মেয়েটার জন্মদিন ছিল, খুব মিস করছিলাম, দেশে আসব বলে অন্যকিছু আর চিন্তা করিনি। না হলে হয়তো ওর ওখানেই উড়াল দিতাম। তাকে নিয়ে কত কিছু যে ভাবছিলাম। সেই- ছোটবেলায় মাথায় ঢুকাই যে, তোমাকে ডাক্তার হতে হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হলো কিন্তু আগে যদি জানতাম যে এত কঠিন, সারাদিন শুধু পড়াশুনা তবে হয়তোবা বলতাম না, যাক হয়ে তো গেছে, এখন শুধু বাকি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা। 
মেয়েটা আমার চেয়ে অনেকগুন বুদ্ধিমতি। তবে অনেক কিছু আমার মতো, যেমন রাগ বেশি আবার ঠাণ্ডাও হয় তাড়াতাড়ি। ভিতরের মানুষটা অনেক নরমসরম, যেমন আমি। বাকিটা অন্য সময় বলব। 


দুবাইতে গত তিনদিন ধরে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির দ্বিতীয় দিনে মি. হাসব্যান্ড রাতে খেতে বসে খুবই এক্সাইটেড হয়ে বলছিল, আগামীকাল সারাদিন ঝড়বৃষ্টি হবে। তো একটু দুষ্টামি করতে ইচ্ছে হলো, বললাম- তাহলে আগামীকাল আর অফিসে যেও না। বলেই- তার দিকে সরাসরি তাকিয়ে আছি, কী বলে তা জানার জন্য। সেও আমার দিকে তাকিয়ে এমন অবাক হলো যে, কি বললাম সেটা বোঝার চেষ্টা করলো। বলল , নাহ্ তা কি হয়। মনে হলো একটু লজ্জাই পেলো। 
যদি সত্যি সত্যি রাজি হয়েই যেত। আমিই তখন জোড় করে অফিসে পাঠাতাম।
বৃষ্টির দিনে আমার একলা আকাশই ভালো। 
আজ আকাশ পরিষ্কার, দেখে মনেই হয় না যে গত তিন/চার দিন মুসলধারে সে এসেছিল। 
আর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পরিষ্কার আকাশে ডানা মেলে উড়বো দেশের উদ্দেশে। 
ভালো থাকবেন সবাই।

/এএল

আর্কাইভ