
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০১:২৫ পিএম
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি
অব্যাহত রয়েছে। এতে করে দিন
দিন আরও বেশি অবনতি
হচ্ছে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার
পাঁচটি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের প্রায়
লক্ষাধিক মানুষ। দেখা দিয়েছে খাবার
ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। তলিয়ে গেছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
মাঠ, রাস্তাঘাট, রোপা আমনের ক্ষেত।
অন্যদিকে
নদীভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চৌহালী,
কাজিপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার
নদী পাড়ের মানুষ। তবে বালুভর্তি জিও
ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এর
মাঝে গত ২৪ ঘণ্টায়
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ
পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২
সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬৭
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে।
শনিবার
(৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯
টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের
শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ
মিটার পরিমাপক আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
সিরাজগঞ্জ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী জাকির হোসেন বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
রয়েছে। এতে নদীর অভ্যন্তরীণ
নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। আরও দু-এক
দিন পানি বাড়তে পারে
বলে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে।
এদিকে
যমুনা নদীর পানির প্রবল
চাপে জেলার কাজিপুর উপজেলার মনসুর নগরের মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পাকা
রাস্তার সেতু দুটি ধসে
গেছে। এ সময় রাস্তার
বেশ কিছু অংশও ধসে
গেছে।
মনসুর
নগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর
রাজ্জাক জানান, গত কদিন ধরেই
পানির তীব্র চাপের কারণে মাজনাবাড়ী হাইস্কুল হয়ে সরিষাবাড়ী ও
জামালপুর যাওয়ার এলজিইডির এই সড়কটির বেশ
কিছু অংশ ভেঙে গেছে।
এ রাস্তার দুটি সেতুতে ধস
দেখা দিয়েছে। একপর্যায়ে একটি সেতু সম্পূর্ণরূপে
ধসে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অপর
সেতুটিও ধসে গেছে বলে
জানান তিনি।
কাজিপুর
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল বারি জানান, ওই
সড়কে একটি এলজিইডির পুরাতন
সেতু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের
আরেকটি সেতু ধসে যাওয়ার
খবর আমরা পেয়েছি।
টিআর/এএমকে