• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঠিকানা ভুল: প্রবাসীর মরদেহ অবশেষে বাড়িতে ফিরলো

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০২:২১ এএম

ঠিকানা ভুল: প্রবাসীর মরদেহ অবশেষে বাড়িতে ফিরলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঠিকানা ভুলের কারণে সুনামগঞ্জে যাওয়ার পর অবশেষে গ্রিস প্রবাসী জালাল মিয়ার (৫২) মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে পৌঁছেছে। শনিবার (১১ মার্চ) রাতে বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। রোববার (১২ মার্চ) মুন্সীগঞ্জের শিলিমপুর মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।


জালাল মিয়ার ছোট ভাই আলমগীর হোসেন এ সব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গ্রিসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে আসা কফিনে লাগানো ঠিকানার ভুলের কারণে মরদেহ সুনামগঞ্জে পৌঁছে যায়।’

তিনি জানান, জালাল মিয়া ১৯৮৯ সালে গ্রিসে গিয়েছিলেন। তিনি ওই দেশের গ্রিন কার্ডধারী ছিলেন। গ্রিসের একটি জ্যাকেট তৈরির কাখানায় ড্রেস মেকারের কাজ করতেন তিনি। বিভিন্ন সময় ছুটিতে তিনি দেশে আসতেন। দেশে গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার রাতে জালাল মিয়ার মরদেহ ঢাকায় আসে। তবে কফিনে আফসার মিয়ার নাম ও গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ছিল। সে অনুযায়ী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক কফিনটি স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়। তবে বাড়িতে গিয়ে কফিন খুলে দেখা যায় মরদেহটি আফসারের নয়, জালাল মিয়ার।
 


মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি রাজিব খান বলেন, ‘সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের ওসি মরদেহের ছবি তুলে আমাকে পাঠান। পরে ওই ছবি জালাল মিয়ার স্বজনদের পাঠাই। তারা মরদেহ শনাক্ত করে। এর ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ থেকে মরদেহটি শনিবার ঢাকা বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে পাঠানো হয়। সেখান থেকে জালাল মিয়ার স্বজনরা মরদেহ বুঝে নেন।’

এদিকে সুনামগঞ্জের দামোধরতুপি গ্রামের আফসার মিয়ার (৪০) মরদেহ কাতার এরারলাইন্সে সোমবার (১৩ মার্চ) দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। আফসার মিয়া গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাসাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছয়মাস আগে গ্রিসে গিয়েছিলেন। আফসার স্ত্রী ও ছয় মাসের একটি মেয়ে রেখে গেছেন। তার ভাই এমরান মিয়াও গ্রিসে থাকেন। ভাইয়ের লাশ দেশে আনার সব ব্যবস্থা করে নিজেও দেশে চলে এসেছিলেন। 

আর্কাইভ