
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
গ্রেপ্তারের পর আদালতে তুলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল মিস আইভীকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তার দেওভোগের বাড়িতে যান। তবে তখন তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
কেননা রাতে তার বাড়ি পুলিশের উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দা ও তার কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আশপাশের মসজিদে মাইকিং করা হলে শত শত মানুষ তার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়।
এ সময় আইভীর কর্মী সমর্থকরা সড়কের কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এমন অবস্থায় রাতে পুলিশ বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করলেও কর্মী-সমর্থকদের বাধার মুখে তারা আইভীর বাড়ির কাছে পৌঁছাতে পারেননি। ।
পরে ভোরে মিস আইভী নিজেই নিচে নেমে আসেন এবং পুলিশের গাড়িতে ওঠেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আমি অপরাধী। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে ২১ বছরের সেবায় কোনো দল কিংবা ব্যক্তিকে আঘাত করার মতো কিছু কখনও করিনি।"
তবে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, "সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যা এবং হত্যার চেষ্টাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।এরমধ্যে একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে"।
ফৌজদারি মামলায় কোনো ওয়ারেন্ট দেখাতে হয় না বলেও তিনি জানান।
নাসিকের টানা তিনবারের নির্বাচিত মেয়র আইভী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ বিলুপ্ত করা হলে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।