• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সেন্ট্রালের দুই চিকিৎসকের মুক্তির দাবি চার সংগঠনের

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৩, ০৬:০৩ পিএম

সেন্ট্রালের দুই চিকিৎসকের মুক্তির দাবি চার সংগঠনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালের ঘটনায় দুই চিকিৎসক ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করায় এবং আরেকজন চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাকসুদা ফরিদা মিলিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের শীর্ষস্থানীয় চার সংগঠন। একইসঙ্গে আটক করা চিকিৎসকদের দ্রুততম সময়ে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক একাধিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ এবং মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

সংগঠনগুলো হলো- অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি), বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন (বিএসএম), সোসাইটি অব সার্জন্স বাংলাদেশ (এসওএসবি) এবং বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল হসপিটালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদীকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করায় এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার চিকিৎসকদের মুক্তি দাবি করছি।

সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার স্বার্থে করণীয় বিষয়ে বিএসএম’র জরুরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় চিকিৎসকদের সুরক্ষার স্বার্থে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব সোসাইটি কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল হসপিটালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

বিএস/

আর্কাইভ