• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সাধারণ মানুষ দুঃখ-কষ্টে ঈদ উদযাপন করছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম

সাধারণ মানুষ দুঃখ-কষ্টে  ঈদ উদযাপন করছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবারের ঈদ আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর। একদিকে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে শরিক হতে পারেননি। অন্যদিকে চাল-ডাল-তেল-লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। 

শনিবার সকাল ১১টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে যান। সেখানে ফাতেহা পাঠ করে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এ সময় প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারা।

মির্জা বলেন,  মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এবারের ঈদের বাজারও কিন্তু জমে উঠতে পারেনি। কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে। সেক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে এই সরকার মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। বিশেষ করে মিডিয়ার সাহায্য  নিয়ে বলে বেরাচ্ছে দেশ খুব ভালো আছে, অর্থনীতি ভালো আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে আজকে একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশে অর্থনৈতিক চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটের কারণে দেশ অতি দ্রুত ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

একটা মিথ্যা কথা বলে, প্রচারণা করে এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনে মানুষকে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশকে মুক্ত করতে মানুষকে জেগে উঠতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে এনেছে। এবারও তারা সংগ্রাম-আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনবে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী জানতে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, একমাত্র উত্তরণের পথ হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক আছে, যারা জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা থাকবে, জনগণের প্রতি ভালোবাসা থাকবে, সেই ধরনের সরকার গঠন করতে হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স,  আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহানগরের আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ।

 

বিএস/

আর্কাইভ