
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক বাণীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরবলেন, ‘পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন। এই শিশুর শুভাগমন সারা দুনিয়াকে নাড়া দেয়। এই দিনটি নবীজির জীবনের মূল্যবোধ, সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তাঁর দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভের এক মহিমান্বিত মুহূর্ত। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বমানবের নিকট এক অসাধারণ আলোকবর্তিকা, শান্তি-সংগ্রাম-সম্প্রীতির আধার, চরম সত্যবাদী ও পরম বিশ্বস্ত হযরত মোহাম্মদ (স.)। তাঁর কালজয়ী মূল্যবোধ, মানবতা, সহমর্মিতা, উদারতা ও মানুষের প্রতি সহানুভূতি মানবজাতির নিকট এক পরম শিক্ষা হয়ে থাকবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কৈশোরকাল থেকেই তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা, যিনি কোনোদিন আমানতের খেয়ানত করেননি, অন্যের উপকার করা যিনি পরম কর্তব্য বলে মনে করতেন, বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করার এক উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মহানবী (স.)। পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত লাভ করেন। সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করেও কঠোর পরিশ্রমী প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি তাওহিদের বাণী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তা’আলা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন মহানবীর (স.) উপর অবতীর্ণ করেন, যা মানব জাতির পথপ্রদর্শক। এতে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলি রয়েছে যার অনুশীলন মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে। তাঁর জীবন ও কর্ম অনুসরণের মাধ্যমে মুসলিমরা শৃঙ্খলিত এবং মানুষের মুক্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠাসহ নিজেদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার অনুপ্রেরণা পায়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরসালিন হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর প্রতি সালাম জানাই।’