• ঢাকা রবিবার
    ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে স্বস্তি পেল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম

অবশেষে স্বস্তি পেল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা

ক্রীড়া ডেস্ক

বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে অর্থ দেয়ার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (উয়েফা)। তাতে লা লিগার রেফারিজ কমিটির সভাপতি হোসে মারিয়া নেগ্রেইরাকে অর্থ দেয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল স্প্যানিশ ক্লাবটি। খবর স্প্যানিশ দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভো।

বার্সেলোনার বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, সেহেতু আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলায় কোনো বাধা রইল না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে উয়েফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবে বলেও জানানো হয়।

সম্প্রতি আর্থিক দীনতায় একেবারে নুয়ে পড়ার দশা স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার। ক্লাবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিক্রির মতো সিদ্ধান্তের মাঝেই ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল রেফারিজ কমিটিকে অর্থ দেয়ার বিষয়টি।

মাঠে বাড়তি সুবিধা নিতে নেগ্রেইরাকে অর্থ দেয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। বিষয়টি প্রমাণ হলে আগামী মৌসুমে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়েও দেখা দিয়েছিল শঙ্কা।
 
অভিযোগের পর কাতালানদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। তবে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হতাশ করে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, রেফারিদের অর্থ দিয়ে বাড়তি সুবিধা নেয়ার মতো ঘটনার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।


উয়েফার এমন সিদ্ধান্তের পর আগামী মৌসুমে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা নিয়ে যে শঙ্কা উঠেছিল, সেটিও কেটে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লাইসেন্স বাতিলের খড়গ থেকে রক্ষা পেল কাতালান ক্লাবটি। ফলে আগামী মৌসুমে ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অংশগ্রহণের পথে আর কোনো বাধা রইল না বার্সার।

এদিকে উয়েফার বর্তমান তদন্তের ভিত্তিতে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ডিসিপ্লিনারি কমিটি পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও জানায় উয়েফা। এ ছাড়াও নেগ্রেইরার কোম্পানিকে অর্থ প্রদান করা হলে তাতে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেয়ার কোনো তথ্য মেলেনি উয়েফার তদন্তে।


এডিএস/

আর্কাইভ