
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১১:১৬ এএম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সাবেক তারকা ফুটবলার আমিনুল হক। সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দিকে।
মঙ্গলবার পল্টনের শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে জিয়া আন্তঃভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি বলেন, ‘বিসিবির নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ হয়েছে। ক্রীড়া উপদেষ্টা সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। প্রতিটি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে।’
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমি শুনে অবাক হয়েছি যে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কাউন্সিলরকে হুমকি দিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। অনেক কাউন্সিলর আমাকে ফোন করে বলেছেন, তাদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
আমিনুল যোগ করেন, ‘বুলবুল ভাই (আমিনুল ইসলাম) ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে অ্যাডহক কমিটির মধ্য থেকে কাউন্সিলর দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। যে চিঠিটি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকরা রিট করে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তার ফলে একটি আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচন হয়ে গেলেও, আদালত রায় দিয়েছেন যে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর অর্থ হলো, যদি হাইকোর্ট চিঠিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন, তবে ইতোমধ্যে পরিচালকরা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
বিসিবি নির্বাচনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলে আমিনুল আরও বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে যে, আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক যে, বোর্ড পরিচালকরা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারেন। এর ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। আমি মনে করি পুরো নির্বাচনব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী বা ক্রীড়া সংগঠকরা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবেন না।’
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠদেরও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাউন্সিলর দেওয়ায় সমালোচনা করে আমিনুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ একজন কর্মীকেও এনএসসির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে কিভাবে কাউন্সিলর করা হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আসলে বিসিবির নির্বাচন নিয়ে সাপ-বেজির খেলা হয়েছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।’