• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে নবীন আইনজীবীদের সংবর্ধনা

আগে ওকালতি, পরে রাজনীতি : অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩, ০১:২১ এএম

আগে ওকালতি, পরে রাজনীতি : অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, আগে ওকালতি, তারপর রাজনীতি। তা না হলে এই আইন পেশায় উন্নতি করা যাবে না। তিনি বলেন, অভিজাত পেশাগুলোর একটি হলো আইন পেশা। এটি একদিকে যেমন সম্মানের, তেমনি দায়িত্বের। একসময় বলা হতো, ‘যার নাই কোনো গতি, সে হয় আইনজীবী’ বর্তমানে সেটি এভাবে পরিবর্তন হয়েছে– ‘যার আছে সব গতি, সে হয় আইনজীবী’।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগ থেকে ২০২১ ও ২০২৩ সালে পাস করা ৮০ জন শিক্ষার্থী বার কাউন্সিলের সনদ পাওয়ায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, গাজীপুর জেলা জজ শামীমা আফরোজ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মো. মোর্শেদ ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনজীবীদের সব কিছুর আগে পড়ালেখা বাড়াতে হবে। তা না হলে এই পেশার মর্যাদা বাড়বে না। নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মক্কেলকে কখনো ভুল পরামর্শ দেওয়া যাবে না। সৎভাবে উপার্জন করতে হবে।

dhakapost

তিনি বলেন, আদালতের মর্যাদা আইনজীবীদেরই রক্ষা করতে হবে। বিচার বিভাগকে যদি হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, তবে আইনজীবীদের নিজেদেরই অসম্মান করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, আইন পেশা গোটা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আগেও এই পেশায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ত, বর্তমানেও পড়ছে। তাই আইনের শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের গর্বিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত দুই পরীক্ষায় ৮০ জন শিক্ষার্থীর সনদ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের ও আনন্দের। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব বলেন, অনেক চড়াই-উতড়াই পার হয়ে একজন শিক্ষার্থী আইনজীবী হয়। এই পেশায় একদিনে সফল হওয়া যায় না। এজন্য অনেক সাধনা ও পরিশ্রম করতে হয়।

তিনি বলেন, দক্ষ আইনজীবী তৈরিতে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন বিভাগের আসন সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। যেটি আগামীতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আইন পেশায় নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান নবীন আইনজীবীদের সৎভাবে জীবন পরিচালনার পাশাপাশি পেশাকে দায়িত্ব হিসেবে নেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ডিনরা, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সনদপ্রাপ্ত নতুন আইনজীবীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

 

বিএস/

আর্কাইভ