• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

খানাখন্দে ভরা সড়ক, চলছে রাবিশ দিয়ে মেরামত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৬:০৪ পিএম

খানাখন্দে ভরা সড়ক, চলছে রাবিশ দিয়ে মেরামত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

খানাখন্দে ভরা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা। আর সেই খানাখন্দ দীর্ঘদিন ধরে মেরামত চলছে রাবিশ দিয়ে।

জানা যায়, ৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে ২০০৩ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। পৌর নাগরিকদের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষও বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন আসেন এ পৌরশহরে। কিন্তু শহরের বিভিন্ন রাস্তা খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় দুর্ঘটনাসহ নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয় নাগরিক এবং দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরশহরের ওয়ালটন প্লাজা থেকে ডাকবাংলো মোড়, ডাকবাংলো মোড় থেকে পুরনো সেতু হয়ে হামিদ বস্ত্রালয়, জনতা ব্যাংক থেকে ধান হাট মহাল, হাঁস-মুরগি মহাল থেকে চাচিয়া মীরগঞ্জ পৌরসভার সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনাজনিত নানা কারণেই রাস্তায় রাস্তায় যানবাহন চালক ও পথচারীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত তর্ক-বিতর্ক। অনেক সময় হাতাহাতিতেও রূপ নেয় তা।

এদিকে, পৌর সদরের সংযোগকারী অন্যান্য রাস্তার চেয়ে অনেকটাই সর্বদা ব্যস্ত থাকে মীরগঞ্জ বাজার থেকে চাচিয়া, চৈতন্য বাজার, পীরগাছার তাম্বুলপুর, নেকমামুদ, কাউনিয়া, উলিপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এ রাস্তাটি। চলে শত শত ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ঘোড়ার গাড়ি, ট্রাক্টর, ট্রলি, ট্রাক, বালুভর্তি ১০ চাকার ট্রাক, বিভিন্ন পন্যবাহী কাভার্ড্যানসহ নানা যানবাহন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় অধিবাসীসহ অনেকেই। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে খানাখন্দে ভরে গেছে রাস্তাটি। ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বালাপাড়ার সুলতান আহমেদ মাস্টারের বাড়ির সম্মুখ ও বালাপাড়া মসজিদের উত্তর পাশে দুটো জায়গায়। এছাড়া অযোগ্য হয়ে পড়েছে পাটনি পাড়া, তারা চেয়ারম্যানের বাসা, সুলতান মাস্টারের বাসা, নিশি কান্ত সাহার বাসা ও কান্দি অটো স্ট্যান্ড, নতুন সেতুর পশ্চিম প্রান্তের সংযোগস্থল।

ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাবিশ ফেলে মেরামত করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। যে দিকে চোখ যায় শুধু রাবিশ আর রাবিশ। স্থানীয়রা বলছেন, এ যেন অনেকটাই রাবিশের শহরে পরিণত হয়েছে। যা দুঃখজনক।

পৌর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার সুলতান আহমেদ বলছেন, ‍‍`পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবস্থা মোটেই ভালো নয়। সংস্কার না করে যেভাবে রাবিশ ফেলছে তাতে করে একদিকে যেমন শহরের রাস্তাঘাটের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে তেমনি সরকারি অর্থেরও হচ্ছে অপচয়। লাভবান করা হচ্ছে ইট ভাটার মালিকদের। যা কোনো কাজে আসছে না শহরের বাসিন্দাদের।‍‍`

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র মো. আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘রাস্তাগুলো মেরামত করতে ইতোমধ্যে অনেক ট্রাক্টর রাবিশ ফেলানো হয়েছে। প্রতি ট্রাক্টর রাবিশ ফেলতে ৪ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে।‍‍`

 

এএল/

আর্কাইভ