• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০৮:৫৪ পিএম

রংপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

রংপুর ব্যুরো

রংপুর নগরীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল আসামি সোহেল রানার (৩২) উপস্থিতিতে এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা নগরীর ধাপ মোহাম্মদপুর আটিয়াটারী এলাকার মৃত আহেদ আলীর ছেলে।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ধাপ মোহাম্মদপুর আটিয়াটারী এলাকার সুজা মিয়ার মেয়ে সুলতানা পারভীনের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানার প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ২০১৫ সালের দিকে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের জন্য উপঢৌকন বাবদ নগদ ২০ হাজার টাকা ও সাংসারিক ব্যবহার্য আসবাবপত্র দেন সুজা মিয়া।

কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে আরও এক লাখ টাকা আনার জন্য সুলতানাকে চাপ দিতে থাকেন সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজন। সুলতানা এতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে  হুমকি দেন সোহেল রানা।

একপর্যায়ে বিয়ের ছয় মাস পর সুলতানাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় চলে যান সোহেল। তবে মুঠোফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেন সোহেল।

ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতের খাওয়া সেরে সুজা ও তার মেয়েসহ বাড়ির সকলেই ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন ভোরে মেয়ে সুলতানাকে ঘরে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকেন সুজা। এ সময় সুলতানার মুঠোফোনও বন্ধ থাকে।

একপর্যায়ে  বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে বাড়ির পাশে পাট ক্ষেত থেকে সুলতানার বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকা মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা।

যৌতুকের কারণে সুলতানাকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে সোহেল রানা এবং তার বোন ও মাসহ নয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সুজা মিয়া। পরবর্তীতে তদন্তে অন্যদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় কেবল সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

প্রায় চার বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।

 

এসএই/এএল

আর্কাইভ